গাংনীতে প্রেমের ফাঁদ, ৩ দিন পর ছাত্রী উদ্ধার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:10 PM, 31 May 2023

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার নিখোঁজ তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে তিনজন অপহরককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে আজ বুধবার সকালে থানায় নিয়ে আসে।আটকৃতরা হচ্ছে – নওগা জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজীপুর গ্রামের চানিকা চৌধুরীর ছেলে রুমন চৌধুরী(২৩), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার নোয়ানি গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন(২২) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে হাসান আলী (২২)।

জানা গেছে, গত রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দেবীপুর গ্রামের বানারুল ইসলামের মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রি স্বপ্না খাতুন, একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রি সূবর্ণা খাতুন, এবং জামরুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রি সুমাইয়া খাতুন। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন গাংনী থানায় একটি জিডি করেন।

এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাটি তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরকরা জানায়, মাদ্রাসা ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে হাসান আলীর সাথে পরিচয় হয়। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে হাসানের পরামর্শে আলমগীর ও রুমন চৌধুরী মিলে সুমাইয়াসহ সাথে আসা আরো দুই বান্ধবীকে অপহরণ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে প্রক্রিয়া চলমান।

আপনার মতামত লিখুন :