গাংনীতে প্রতিবেশীদের হামলায় একই পরিবারের নারীসহ আহত-৩
মেহেরপুরের গাংনীতে প্রতিবেশীর হামলায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদুজ্জামান বেল্টুর পরিবারের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ওই পরিবারের নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলো- ফেরদৌস ওয়াহেদ বেল্টুর ছেলে আলামিন হোসেন-(২৬),তার স্ত্রী আয়শা খাতুন-(১৮) আলামিনের বোন জান্নাতুন ফেরদৌস(১৬)। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে আলামিনের মাথার আঘারত গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধা ৭টার সময় গাংনীর মহিলা কলেজ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কোন কারন ছাড়াই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে আহতরা দাবী করলেও হামলাকারিরা বলছেন ঘরের মধ্যে দরজা দিয়ে আলামিন তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করছিল তা দেখতে গেলে আলামিন প্রতিবেশিদের মারধর করেছে তাই তার ওপর হামা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন।
আহত আলামিনের বোন জান্নাতুন ফেরদৌস জানান, আমার ভাই মাইগ্রেনের সমস্যার জন্য ঘর থেকে বের হয়না। আজ সন্ধায় আমার ভাই আলামিন ঘর বসেছিল এসময় স্থানীয় সুলতান মাহামুদের ছেলে রাজ্জাক,স্থানীয় সাগর,পলাশ সহ কয়েকজন জানালা দিয়ে আমার ভাইকে ডেকে বাহিরে নিয়ে চলা ও লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে। আমার ভাইয়ের চিৎকার শুনে আমরা তাকে ঠেকাতে গেলে তারা আমাকে ও আমার মা ও ভাইয়ের স্ত্রীকেও মারধর করে। এতে আমার ভাইয়ের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়।
এদিকে হামলাকারি রাজ্জাক জানান, আলামিন তার স্ত্রী আয়শা খাতুনকে ঘরের দরজা দিয়ে মারধর করছিল। এসময় আয়শা চিৎকার দেয়। তার চিৎকার শুনে আমার বৃদ্ধা মা জানালা দিয়ে দেখতে গেলে আলামিন ঘর থেকে বের হয়ে আমার বৃদ্ধা মাকে মারধর করে। আমি মাকে মারধর করার কথা শুনে বসে থাকতে পারিনি। তাই আলামিনকে মারা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মুবাশিরিন জানান, আলামিনের মাথায় অনেক আঘাত হয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং বাকিদের এখানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।