মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষি ব্যাংকের ঋণ করে দেওয়ার নামে প্রায় ১'শ ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নজিমউদ্দিন(৪৫) নামে এক দালালের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নজিমুদ্দিন উপজেলার রামনগর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী রামনগর গ্রামের আজগর আলী গাংনীর চোখ'কে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আমাকে কৃষি ঋণ করে দেওয়ার নামে নজিম উদ্দিন ৩হাজার ৫'শ ও আমার জমির দলিল নিয়েছে। টাকা ও জমির দলিল ফেরত দিচ্ছে না।

আরেক ভুক্তভোগী ভবানীপুর গ্রামের লালটু হোসেন গাংনীর চোখ'কে জানান, আমাকে কৃষি ঋণ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে আমার কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা। সে আমার টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছে।

নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে একজন গাংনীর চোখ'কে জানান, রামনগর,ভবানীপুর,নওদা মটমুড়া গ্রামের প্রায় ১'শ ব্যাক্তির কাছে খেকে কৃষি ব্যাংকের ঋণ নিয়েছে নজিমউদ্দিন।এজন্য প্রতিদিনি পাওনাদার তার বাড়াতে আছে।এমনকি নজিমউদ্দিনের মোবাইলে ফোনন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করতে চাননা।

কৃষি ব্যাংকের দালাল এলাকায় পরিচিত নজিমউদ্দিন গাংনীর চোখ'কে জানান, আমি কৃষি ব্যাংক ঋণ করে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছি।আমি সেই টাকা জুয়া খেলায় হেরে গেছি।সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,আমার যখন সুবিধা মনে হবে তখন আমি টাকা ফেরত দিব।

নজিমউদ্দিনের ছেলে তারকি গাংনীর চোখ'কে জানান,আমার বাবা কৃষি ব্যাংকের ঋণ করে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছে,তাতে আপনাদের(সাংবাদিকের) সমস্যা কোথায়।

স্থানীয় মেম্বার হাবিল উদ্দিন গাংনীর চোখ'কে জানান,আমি জানি নজিমউদ্দিন কৃষি ব্যাংকে ঋণ করে দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে।কিন্তুু কতজনের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে।আমাকে বেশ কয়েক জন জানিয়েছে নজিমউদ্দিন কৃষি ব্যাংকের ঋনের নামে টাকা নিয়ে,টাকা চাইতে গেলে সময়ের পর সময় দিয়ে আছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ গাংনীর চোখ'কে জানান,বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।