গাংনীতে কাঁটা তারে বন্দী অর্ধশত পরিবার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:53 PM, 19 June 2022

শত বছর ধরে যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে অর্ধশত পরিবার, যে রাস্তাটি সরকারীভাবে ইট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। এবার সেই রাস্তায় দেওয়া হয়েছে কাঁটা তারের বেড়া। রাস্তার পাশের জমির মালিক কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন তারা।

তবে উভয় পক্ষের সাথে দেন দরবার করে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চেংগাড়া বাজারের পশ্চিম পাশে ঠিক রাস্তার কোল ঘেষে দেয়া আছে কাঁটা তারের বেড়া। বেড়াটি এমনভাবে দেয়া আছে যেখান দিয়ে কারো বের হওয়া দুষ্কর। বেড়ার ওপারে বসত করছেন অন্ততঃ ৫০টি পরিবার।

যাদের অধিকাংশই কৃষি কাজে জড়িত। আলাপকালে ভুক্তভোগিরা জানালেন তাদের দূর্ভোগের কথা।কাঁটা তারের বেড়ায় আটকে পড়া শহিদুল ইসলাম জানান, জন্মের পর থেকে তিনি দেখেছেন তার পূর্ব পুরুষরা ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতেন। জমির ফসল আনা নেওয়া ছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্য সবই করা হত ওই রাস্তা দিয়ে। বামন্দী গ্রামের হাফিজুল ক্রয়সূত্রে জমির মালিক দাবী করে রাস্তাসহ কাঁটা তারের বেড়া দেন। ফলে ওখানকার অর্ধশত পরিবারের যাতায়াতসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস জানান, জমিতে বেড়া দেয়ার সময় হাফিজুলকে অনেক অনুনয় বিনয় করে বাড়ি থেকে বের হবার জন্য পথ চাওয়া হয় কিন্তু তিনি শোনেন নি। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি কাঁটা তারের বেড়া দেন। এতে করে লোকজন বাড়ির পোশা গবাদি পশু আনা নেয়া করতে পারছেন না। আবার ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজেও যেতে পারছেন না। একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি ও প্রতিবেশিরা।

শহিদুলের স্ত্রী আলেয়া খাতুন জানান, বাড়ি থেকে বের হবার জন্য এক ফুট জায়গাও রাখেনি হাফিজুল। অন্যের বাড়ির উপর দিয়েও কোথাও যাবার জায়গা নেই। অবরুদ্ধ পরিবারের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশার শরণাপন্ন হলে তিনি আসেন ও সমাধানের চেষ্টা করেন। সর্বশেষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা জানানো হয়নি।

জমির মালিক হাফিজুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেন নি।ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে বিষয়টি অবগত হয়েছেন। ইতোমধ্যে জমির মালিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানমের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিব করেননি।

আপনার মতামত লিখুন :