গাংনীতে উপহারের ঘর পেয়েও গৃহহীন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:08 PM, 11 March 2023

মেহেরপুরের গাংনীতে মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ৬২ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েও তারা ঘরের মালিক হতে পারেননি। গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০টি ঘর আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে আজো বুঝিয়ে দেয়া হয়নি । এছাড়া ৪২ পরিবারকে ১ম ও ২য় পর্যায়ের ঘর বুঝিয়ে দিলেও কবুলিয়ত নামা ও নামজারীর কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। একারনে তারা ঝুকিতে বসবাস করছে। এদিকে নির্মাণ করার পর ঘরগুলোতে কেউ বাস না করায় স্থানীয় মাদক সেবীদের আড্ডাখানা ও চোর ডাকাতের আবাস স্থল হিসেবে পরিনত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সুরাহা না হলে তাদের কিছুই করার নেই। কবুলত নামা ও নামজারীর কাগজ শীঘই্র দেয়া হবে।
গাংনী উপজেলা ভূমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মটমুড়া ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ নং দাগে ১৭ জন এবং ষোলটাকা ইউপির কাষ্টদহ গ্রামের তিনটি পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। কাষ্টদহ গ্রামের তিনটি ঘর নির্মান আশি ভাগ শেষ হবার সময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও মোহাম্মদপুর গ্রামের ১৭টি ঘর নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর আবুল মেলেটারী এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ দাগের জমি তার নিজের বলে দাবী করে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলায় স্থগিতাদেশ দিলে নিমানকৃত ঘর গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেনি। ।

মোহাম্মদপুর গ্রামের সুজন ও তার স্ত্রী বিউটি জানান, তাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হলেও তারা ঘরে উঠতে পারেন নি। মামলা ছাড়াও ঘরের কোন কাগজপত্র দেয়া হয়নি। ভুতুড়ে অন্ধকার জায়গা।
গ্রামের প্রভাবশালী আবুল মেলেটারী সেখানে না যাওয়ার জন্য শাসিয়ে দিয়েছে।
মামলার বাদি আবুল হোসেন মেলেটারী জানান, তিনি ওই জমি লীজ নিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। এ জমিতে ভূমি অফিস অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় আদালতে মামলা করা হয়। মামলাপ্রাপ্ত হয়ে আদালত স্থগিতাদেশ দেন। বরাদ্দপ্রাপ্ত কোন পরিবারকে হুমকী ধামকী দেয়া হয়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম জানান, মোহাম্মদপুর এলাকাতে ৫৯২০ নং দাগের জমি নিয়ে কোন মামলার বিষয় কারো জানা ছিল না। গৃহ নির্মানের পর আবুল মেলেটারী নামের একজন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসায় ঘরগুলি মালিককে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি খাতুন জানান, মামলা জটিলতায় গৃহ হস্তানতর পক্রিয়া আঁটকে গেছে। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কিছুই করার নেই।

আপনার মতামত লিখুন :