কুষ্টিয়ায় আর্জন্টিনা- ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ আহত-৭ 

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:35 PM, 19 December 2022

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার পর সংঘর্ষে জড়িয়ে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার হরিপুরে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলায় টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা জেতার পরপরই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আহত ব্যক্তিরা হলেন—কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন (৪৫), সায়েম আলী (৫৫), অমিত (২৩), জুয়েল (৩৫), শিপন (৩৭), বিজয় (৩৫) ও চাঁদ আলী (৩৬)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্বকাপের ফাইনাল উপলক্ষে কুষ্টিয়া শহরসংলগ্ন গড়াই নদের পাশে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর বাজারে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজন করেন স্থানীয় তরুণ-যুবকেরা। খেলায় প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা দুই গোল দিলে দলটির সমর্থকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। ফ্রান্সের সঙ্গে খেলা হলেও সেখানে ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থকেরাও খেলা দেখছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ফ্রান্সকে সমর্থন দেন। আর্জেন্টিনা দুই গোল দেওয়ার পর ব্রাজিল সমর্থকেরা পরবর্তী খেলা না দেখে বাড়ি চলে যান। কিছুক্ষণ পর ফ্রান্স দুই গোল দিয়ে খেলায় সমতা আনে। এমন খবর পেয়ে আবার সেখানে হাজির হন তাঁরা। তাঁরা সেখানে পাল্টা উল্লাস করতে থাকেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

খেলা শেষে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা জয় লাভ করলে দলটির সমর্থকেরা নাচানাচি শুরু করেন। নাচানাচির একপর্যায়ে আর্জেন্টিনার এক সমর্থক ব্রাজিলের এক সমর্থকের গায়ের ওপর পড়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সায়েম আলী চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তাঁর শ্যালক হাসিবুর রহমান বলেন, সায়েম ভাইয়ের বাড়ির পাশেই খেলা চলছিল। খেলার একপর্যায়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সায়েম ভাই মারামারি ঠেকাতে গিয়ে চোখে আঘাত পান। তাঁকেসহ অন্যদের রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাতে খেলা দেখা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে পুলিশের টহল রাখা হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

আপনার মতামত লিখুন :