কুষ্টিয়ার পিবিআই তদন্তে আলোচিত গলাকাটার রহস্য উন্মোচন : দুলাভাইকে ঘায়েল করতেই শালিকা ও ভাইরার সাজানো নাটক

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:38 AM, 15 September 2020

কুষ্টিয়ার পিবিআই তদন্তে আলোচিত গলাকাটার রহস্য উন্মোচন : দুলাভাইকে ঘায়েল করতেই শালিকা ও ভাইরার সাজানো নাটক
সময়েরদিগন্ত.কম ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগরের বহুল আলোচিত শালিকার গলাকাটা ঘটনার মূল রহস্য অবশেষে বেরিয়ে এলো পিবিআই-এর তদন্তে। মূলতঃ দুলাভাইকে ঘায়েল করতে শালিকা ও ভাইরার সাজানো নাটক ছিল এটি তা এখন স্পষ্ট।

জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর বিকালে কুমারখালী উপজেলার চকরঘুয়া গ্রামের আজাদ হোসেসেনর বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে শালিকা রাশেদা ইসলাম তার আপন দুলাভাই মানিক বিশ^াসকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসাতে গলাকাটার নাটক করে। হামলার ঘটনায় শালিকা রাশেদা বেগম আহত হলে অনুপস্থিত থাকা কলেজ শিক্ষক দুলাভাই মানিক বিশ্বাসকে গলাকাটার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করতে থাকে।

ঠিক তখনই রাশেদা ইসলামের মা মাহামুদা বেগম একটি সংবাদ সম্মেলন করে জামাই মানিক বিশ^াস দোষী নয় বলে দাবী করেন। তিনি গলাকাটার ঘটনাকে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলেও জানান। পরবর্তীতে শালিকা রাশেদা ইসলাম তার স্বামী প্ররোচনায় গলাকাটা মিথ্যা নাটক সাজায় বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

শালিকা রাশেদা ইসলামের স্বামী মামুন হোসেন কুষ্টিয়া পুলিশ শপিং কমপ্লেক্সের কর্মচারী হওয়ার সুবাদে সে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের অসত্য তথ্য সরবারাহ করে ফাইদা লোটার চেষ্টা করে। শালিকার এমন মিথ্যা নাটক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার সময়ে মানিক বিশ^াসেরর শাশুড়ী ও রাশেদা ইসলামের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামালা দায়ের করেন।

দায়ের করা মামলা বিজ্ঞ আদালত পূর্নাঙ্গ তদন্তের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ দেন। পিবিআই গত ১৩ই ফেব্র“য়ারি মামলাটি তদন্তের ভার গ্রহন করে । পিবিআই বিভিন্ন ভাবে তদেন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ই জুন পূর্নাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন আদালতে। মূলতঃ দুই ভাইরা ভাই এবং শালীর মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ থাকার কারনেই মানিক বিশ^াকে ঘায়েল করতেই শালীকা রাশেদা ইসলাম, ভাইরা মামুন হোসেন ও তার পরিবার এমন নাটক সাজিয়ে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মানিক বিশ^াসের সাথে কথা হলে প্রতিবেদককে জানান, আমি একজন কলেজ শিক্ষক, আমার সম্মান নষ্ট এবং জমি দখল করতে আমার শালীকাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে মামুন বিয়ে করে। পরবর্তীতে তারা পরিবারকে সাথে নিয়ে এমন মিথ্যা নাটক সাজায়। আমার শ^শুর মারা যাবার পর থেকেই শ^াশুরি আমার বাসাতে থাকেন, আর আমার শ^শুর-শ^াশুরির সকল সম্পদ দখল করতেই এই সমস্ত পরিকল্পানা সাজিয়েছে মামুন। আমার শাশুড়ী বুঝতে পেরে ইতিমধ্যে তাদের সাথে সকল সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে। তিনি এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পিবিআই যে তদন্ত জমা দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই, আর তাই উক্ত মামলাটির পুনরায় তদন্তের আবেদন জানাবো।

আপনার মতামত লিখুন :