৭১’র রনাঙ্গনের যোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হতে পারেননি হাবিবুর রহমান হাবিব।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার কৃতি সন্তান হাবিবুর রহমান হাবিব ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের যোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হতে পারেননি আজও। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পেতে চান তিনি। হাবিবুর রহমান হাবিব বর্তমান অসুস্থ্য অবস্থায় দিনযাপন করছেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার মৃত বাবর আলী ও মৃত করিমন নেছার কোল জুড়ে ০৬-০৪-১৯৪৯ ইং তারিখে হাবিবুর রহমান হাবিব জন্ম গ্রহন করেন। ছাত্র অবস্থায় ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে হাবিবুর রহমান হাবিব প্রথম ভাগে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুজাহিদ হিসাবে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে প্রতিরোধ যুদ্ধে হাবিবুর রহমান হাবিব এর সহদর ভাই প্লাটুন কমান্ডার নজরুল ইসলাম ও মুজাহিদ কোম্পানীর তমান্ডার গিয়াস উদ্দিন পাজ্ঞাবীদের সেলে মারা যান। সেই যুদ্ধে হাবিবুর রহমান হাবিব অংশগ্রহন করেন। তিনি বেঁচে যান। হাবিবুর রহমান হাবিব ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের যোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হতে পারেননি আজও। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বকৃতি পেতে চাই। হাবিবুর রহমান হাবিব বর্তমান অসুস্থ্য অবস্থায় দিনযাপন করছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মহি উদ্দিন বানাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনার আলি বলেন, ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার মৃত বাবর আলী ও মৃত করিমন নেছার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম ভাগে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুজাহিদ হিসাবে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে প্রতিরোধ যুদ্ধে তার এবং আপন ভাই শহীদ নজরুল ইসলামের অবদান স্বীকৃত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিকারপুর ক্যাম্প অবস্থান করার পর শহীদ পরিবারের দেখা শুনা করার জন্য ক্যাম্প ইর্নচাজের অনুমতি সাপেক্ষে নিজ বাড়িতে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন।