হাসপাতালের সার্জিক্যাল উপকরণ চুরির কথা স্বীকার করলেন আসাদ
মেহেরপুর ২শ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ব্রাদার (মেইল নার্স) আসাদুল হক আসাদ সরকারি সার্জিক্যাল সামগ্রী প্রথমে নিজের বলে দাবি করলেও পরবর্তিতে চুরির কথা স্বীকার করেন। আসাদুল হক আসাদ মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাঁকা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে ডিউটি থেকে ফেরার সময় ব্যাগ ভর্তি সার্জিক্যাল উপকরণ সহ রুগীর স্বজন ও একদল সাংবাদিক তাকে আটক করে।
অভিযোগে জানা যায়, মাঝে মাঝে আসাদ রাতে ব্যাগে করে সার্জিক্যাল সামগ্রী পুরে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ইমারজেন্সি বিভাগে বিভিন্ন সার্জিক্যাল সামগ্রী ব্যাগে ভরে নিয়ে যাবার জন্য প্রস্তুতি নেয় তিনি। এসময় রুগীর এক স্বজন বিষয়টি দেখে সাংবাদিকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে একদল সাংবাদিক ও রুগীর স্বজনরা হাসপাতাল গেটে আসাদকে থামিয়ে চ্যালেন্স করেন। আসাদুল প্রথমে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে, পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি ব্যাগ খুলে দেন। ব্যাগে ভর্তি সরকারি ব্যান্ডেজ, গজ, হেক্সিসল, ভায়োডিন সহ বিভিন্ন স্যাজিক্যাল উপকরণ পাওয়া যায়।
আসাদুল হক আসাদ বলেন, আমি একজন টেকনিশিয়ান। বিভিন্ন ক্লিনিক সহ গ্রাম-গঞ্জে হাড়জোড়া সহ বিভিন্ন জটিল ছেড়া ফাটার চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তাই এগুলো আমার ব্যাগে রয়েছে। তবে তিনি জনসম্মুখে স্বীকার করে করেন, ব্যাগে রক্ষিত সার্জিক্যাল সামগ্রী হাসপাতালের। তিনি এগুলো গোপনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভবিষ্যতে আর কোনদিন এমন কাজ করবেননা বলে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চান।
হাসপাতালের আরএমও মোখলেসুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেয়। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।