সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:17 PM, 21 August 2024

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তার সৈয়দা মোনালিসসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা সন্ত্রাসী বিরধির ট্রাইব্যুনালের মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে মামলার বাদী সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আপনার জামান আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করে বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী হাসনাত জামান বলেন, আন্দোলন চলাকালে গত ৪ তারিখে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে মারধর করেছিলো। আমাকে যারা মারধর করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি কিন্তু আমাকে না জানিয়ে বা ভূলবশত যে কোন ভাবে আমাকে বাদী করে এতজনের বিরুদ্ধে মামলাটা করা হয়েছে। পরে আমি মামলার তালিকা দেখার পরে বুঝতে পারি এখানে অনেক নির্দোষ যারা কোনভাবে এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন অনেক জনকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে ১৬৬ জনকে আসামী করা হয়েছিলো কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখছি যারা অপরাধী আমাকে মেরেছিল তারা অনেকেই এখানে নেই। তাই আমি স্বজ্ঞানে, সেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মামলার বাদী হলেও মামলার তালিকা সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যখন আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিলো তখন আমাকে বলা হয়েছিলো আমি মার খেয়েছি সেজন্য আমার স্বাক্ষরটা লাগবে। যখন আমাকে মামলার তালিকা দেখানো হয়েছিল তখন যারা আমাকে মেরেছিল তাদের কয়েকজনের নাম ছিলো। মামলা হওয়ার পর তালিকা দেখে আমি দেখলাম এখানে অনেক নির্দোষ নিরাপরাধ মানুষ যাদের অনেককে আমি চিনিই না তাদের জড়ানো হয়েছে। যারা স্বাক্ষী আছে তারাও বেশিরভাগ নাম জানে না।

মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের উপর যারা হামলা করেছিল আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার পদক্ষেপ নেয়। মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ১/২০২৪। পরবর্তীতে মামলার তালিকা থেকে আমরা দেখি তালিকায় অনেক মানুষ আছে যারা মারা গেছে, চাকুরিজীবী আছে অনেকে বিদেশে আছে তাদের নামও যুক্ত করা হয়েছে। তারা তো নিরাপরাধ তাদের নামে কেন মামলা হবে। যেহেতু আমরা কোন নির্দোষকে শাস্তি দিতে চাই না, আমরা কোন অন্যায় স্বাক্ষী দিতে চাইনা। তাই আমরা সকল স্বাক্ষীরা বাদীর সাথে আলোচনা করে স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্যঃ সোমবার মেহেরপুর সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসাসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হলে সদর থানায় মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক মো: মঞ্জুরুল ইমাম।

মামলা যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলো, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন,তার ভাই মৃদুল,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান হোসেন মিলু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামান, শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বাড়াদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, গোলাম রসূল, আক্কাস আলী, সাবেক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, ফরহাদ হোসেনের পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম।

এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা বারিকুল ইসলাম নিজন, জয় খান, দুলাল, বাবলু, রাতুল, অনিক,সুইট, কুতুব উদ্দিন, সামারুল, মহিবুল, রাসিম, নওশাদ বাবলু,হাসেম আলী, আক্কাস আলী, আলিফ, স্বাধীন, সাজ্জাদ,সম্রাট, গোমেজ, আকাশ, আশিক, শুভ, জুয়েল রানা, বায়েজিদ, রিয়াদ, হৃদয়, রাজিব, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মমিনুল হায়দার মমিন, ইমরান, শারাফাত, জাহিদ, বাপ্পি সরিফত, নুরু দর্জি,রায়হান, রাজিব, রিপন, হাবিব, শাজাহান, শাওন, রবিন, ইমরান হেলালি প্রিন্স, জাহাঙ্গীর, শরীফ, রকিবুল, মিজান, শহিদুল ইসলাম সাগর , পলেন মাস্টার, আশরাফ, তারিখ, মিজানুর রহমান হিরন, সুইট, বকুল, রানা, মিজান, মিলন, মফিজুর রহমান, আবু হুরাইরা, আরিফ, মামুন মেম্বার, আনারুল ইসলাম, হেদায়েত, রাশেদ লতিফ, বাধন, শিশির, মাহফুজুর রহমান পলেন, জুয়েল, সেলিম, হাসান, নয়ন অধিকারী, রাজ্জাক, নেহাল, রিন্টু রহমান, শাহিন ইসলাম তানিম, তুফান, মনজুরুল কবির রিপন, আসলাম খান পিন্টু, কাদের, তামসেন, ইব্রাহিম, শ্রী গোপাল, নাসিমা বেগম, শোভন খান, জুয়েল রানা, ডালিম, মুকুল, রাজিব, হৃদয়, আতাউর রহমান, রকি, হাসিনা খাতুন, সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুক, চাঁদ আলী, তিষান, তিতলি, মামুন, ফিরোজ আলী, সাকিব, আলা, নাজিরুল ইসলাম, জোহানি, সেলিম ,মাসুদ ,শাহীন, হুমায়ুন কবীর, আবু, বাধন খান, মাহফুজ, রাশেদ খান, বাসারুল ইসলাম, রবিন, ফাহাদ, রুস্তম, আসিফ মীর, রানা, মিথেন, সৌরভ, আতিয়ার, শিশির, বাদশা, জুয়েল, আবু মোরশেদ শোভন, আকাশ, বাঁধন, সেলিম, সাজু, ইসমাইল হোসেন, অনিক, সোহাগ, স্বাধীন, রুমা খাতুন, লিখন, মতি, হাসান, চুনি, পান্না, সুমন, সেলিম, আফতাব, হাফিজুল, দেবু সাহা, মেজবা, আনারুল, ইনদা, জুয়েল, লালন, সেলিম, ডাবলু, বাবলু ধামা, ইসরাফিল, সানি, আতিয়ার, গাজী , ওদুদ এবং আনন্দ।

আপনার মতামত লিখুন :