সাগর-রুনির মামলার সিন্দুকের চাবি হয়তো হারিয়ে গেছে

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:13 AM, 12 February 2022

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের দশম বার্ষিকী শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। এ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সেটি জমা দেওয়ার তারিখ আদালত পিছিয়েছেন ৮৫ বার । এই দীর্ঘ সময়ও মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন করতে পারেনি । দাখিল না হওয়ায় আক্ষেপ ঝরছে দুই সাংবাদিকের স্বজনদের কণ্ঠে। সাগরের মা সালেহা মুনিরা বলেন, ‘কোনো প্রভাবশালী মহলের ইশারায় মামলাটি সিন্দুকবন্দি হয়ে আছে। হয়তোবা সিন্দুকের চাবি হারিয়ে গেছে।’

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর এ ধরনের অনেক মামলা হয়েছে। মামলার রহস্যও উদঘাটন হয়েছে, আসামিদের সাজাও হয়েছে। কিন্তু কোন প্রভাবশালী মহলের ইশারায় সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সিন্দুকবন্দি হয়ে আছে । না হয় কেন ঝুলে থাকবে এ মামলা?

সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে সাড়ে ৮৭ হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এত সময়ে মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি। যদিও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদের সহকর্মীরা।

সূত্রঃবার্তা বাজার।

আপনার মতামত লিখুন :