সরকারের ঈদ উপহারের টাকা যাচ্ছে কার পকেটে???
দেশের মানুষ যাতে সকলেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেই জন্য সরকার ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থ ও অসহায় মানুষদেরকে মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে প্রত্যাককে ২৫শ করে টাকা দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।বিজ্ঞাপনঃ
কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই উপহারে পড়েছে কাল থাবা। মোবাইলের টাকা মোবাইল থেকেই গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্ত ভোগীদের অনেকেই। এই টাকা কোন ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলা থেকে।
এমন অভিযোগ নিয়ে আসে গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও তার পিড়াপিড়িতে তাকে পাঠানো হয় মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মহিদুল ইসলামের কাছে।
উদ্যোক্তা মহিদুল ইসলাম জানান, আমি একটি স্মার্ট ফোনে নগদ এ্যাপ ইন্সটল করে তার একাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখলে দেখা যায় যে, গত ৫ মে তার নগদ একাউন্টে ২৫শ টাকা এসেছে। পরে ১৩ মে তার টাকা দুবারে ০১৫৫০-৬৬৯৬৫৩ নাম্বারের নগদ একাউন্টে ক্যাশ আউট হয়েছে। ওই নাম্বারের মালিকের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট চাতুলবাজারে।
এরপর অনুসন্ধানে জানা যায়, কোদাইলকাটি গ্রামের কম্পিউটার দোকানদার মিলন হোসেনের কাছে এমন আরো তথ্য আছে। যোগাযোগ করা হয় মিলন হোসেনের সাথে।
মিলন হোসেন জানান, আমার কাছে অনেকেই মোবাইল একাউন্টে লেনদেন করতে আসে। কয়েকদিন আগে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের টাকা উঠাতে আসলে দেখা যায় তাদের একাউন্টে টাকা নেই। পরে এ্যাপ ইন্সটল করে স্টেটমেন্ট চেক করে দেখা যায় কমিল্লা থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কোদাইলকাটি গ্রামের জাহা মন্ডলের ছেলে বিপ্লব হোসেন, ঝোড়পাড়া গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে জিনারুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত মফেল উদ্দীনের ছেলে সেলিম রেজা।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম জানান, এমনটি হওয়ার কথা নয়। তবে যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে সেটা কোন ইন্ডিভিজুয়াল সমস্যা নয়। হয়তোবা কোন হ্যাকার চক্র একাউন্টগুলোকে হ্যাক করে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে অবশ্যই তারা ব্যবস্থা নিবেন।