সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত সাংবাদিক নোমানী
হাওলাদার বেলালঃদৈনিক শাহনামার প্রধান বার্তা সম্পাদক ও মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানীর উপরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা। এতে তার মাথায় প্রায় দশ ইঞ্চি, ছয় ইঞ্চি ক্ষত হয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন শেষে বর্তমানে সার্জারী ওয়ার্ডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সাংবাদিক নোমানী। এ হামলায় তার বৃদ্ধা মা পারুল বেগম এবং বোন লিপি আক্তারও গুরুতর আহত হয়েছেন। ৩ জুন (শুক্রবার) বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠীর রাজাপুরের চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মুনসুর মোল্লার ছেলে দুলাল ও আলম, ফেরদাউস, ফজলে হক, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, দেলোয়ার সহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল। সাংবাদিক নোমানী ঘটনাস্থলে গেলেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে নোমানীর মা ও বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কোপায় সন্ত্রাসীরা। তারা তিনজনই এখন মুমূর্ষূ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদেও অবস্থা গুরুতর। সিটি স্ক্যান সহ বেশ কিছু টেষ্ট দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।
জানা গেছে, কালিমা তাইয়েবা খচিত একটি তোরণ ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয় এলাকার একটি গ্রুপ। সাংবাদিক নোমানী সহ এলাকার সচেতন মহল এর বিরোধীতা করায় সেই তোরণটি ভাঙ্গতে না পেওে ক্ষিপ্ত হয় তারা। দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে অবশেষে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
আহতের স্বজনরা বলেন, তারা নোমানী ও তার মাকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। হত্যা করার উদ্যেশেই তারা এভাবে কুপিয়েছে। বর্তমানে তাদেও চিকিৎসা চলছে। এদিকে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
এ ব্যাপাওে রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, সংঘর্ষেও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখনো কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এই বর্বর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর বিচার দাবি জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, দৈনিক শাহনামা পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।