সন্তান রেখে ননদের ছেলের হাত ধরে গৃহবধু লাপাত্তা
দুই সন্তান রেখে আপন ননদের ছেলের হাত ধরে সংসার ত্যাগ করেছেন সালমা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধু। তবে তিনি কোথায় গেছেন এ খবর এখন পর্যন্ত তার পরিবার জানেনা।
ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর)।
জানা যায়, পাকুড়িয়া গ্রামের সার্থকের ছেলে সৌদি প্রবাসি শফিকুল ইসলাম (৩০) ঘটনার দিন দেশে আসে। তবে তার দেশে আসার খবর পরিবারের জানা ছিলনা বলে জানান তার পিতা সার্থক। ঐ দিনই প্রবাসি শফিকুল ইসলামের হাত ধরে দুই সন্তান রেখে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় গৃহবধু সালমা খাতুন।
গৃহবধু সালমা খাতুন ঐ গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন এর স্ত্রী ও প্রবাসি শফিকুল ইসলামের মামি।
দুই সন্তান ফেলে আপন ভাগিনার হাত ধরে ঘর ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ায় এলাকায় সমালোচনার সাথে সাথে চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়।
গৃহবধু সালমা খাতুনের স্বামী মুকুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ১৮ বছর আগে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সে এভাবে চলে যাবে কখনও ভাবিনি। ঘরে আমার দুটি সন্তান রয়েছে বড় ছেলে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীতে আর ছোট মেয়ে গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। তাদেরকে নিয়ে পড়েছি বিপাকে।
তিনি আরও বলেন, তার চলে যাওয়ার খবর আমরা সকালেই জেনেছিলাম কিন্তু সে যে তার আপন ভাগ্নের সাথে চলে গেছে এটা নিশ্চিৎ হয়েছি ৩ দিন পর। কারণ শফিকুল ইসলাম দেশে আসছে এ খবর আমাদের জানা ছিলনা। পরে জানা যায় সে ঐ দিনই দেশে আসে কিন্তু বাড়িতে না উঠে অন্য কোথাও গেছে। পরে বিদেশে যাদের সাথে থাকতো তাদের কাছে খবর নিয়ে নিশ্চিৎ হওয়া গেছে যে সে তার আপন মামির সাথে নিরুদ্দেশ হয়েছে।
শফিকুলের পিতা সার্থক হোসেন জানান, আমার ছেলে তিন বছর আগে পাশের ঢেপা গ্রামে বিয়ে করে তার এক মাসের মাথায় তাকে তালাক দেয়। এরপর থেকে তার সাথে আমাদের আর কোন কথায় চলেনা। এদিকে গ্রাম বাসি অনেকে ধারণা করেন তার মামির সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে সে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়।
গৃহবধু নিরুদ্দেশ হওয়ার পরই সালমার স্বামী মুকুল হোসেন গাংনী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন বলে তিনি জানান।