শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে সাংবাদিকের নামে মামলা
মেহেরপুর ভৈরব নদে অবৈধভাবে মাটি চুরি করে বিক্রি করা,নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়িঘর ভাংচুর করে উল্টা সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনি সহ ৭ জন গ্রামবাসীর নামে চাঁদাবাজির মামলা করেছে তবিরুল ইসলাম তাবু নামে এক ব্যক্তি।
গভীর রাতে মাটি কাটার লাইভ ভিডিও করা, সরকারি মাটি কেটে চুরি করে বিক্রেতা মিলন মেম্বারের ক্রেতা ঠিক করা এবং মিলন মেম্বারের জবানবন্দি,গোপন অডিও,ভিডিও প্রকাশ করা এবং অদৃশ্য শক্তিদের নামের গোপন ভিডিও জনসম্মুখে নিয়ে আসার কারণেই সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে, অদৃশ্য শক্তিদের বাঁচানোর জন্য- শাক দিয়ে মাছ ঢাকতেই,
সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে।
এই মামলার অপর আসামীরা হলেন- সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে মহাসিন, ওমর আলীর ছেলে মফিজুর রহমান, হযরত আলীর ছেলে ইসরাফিল হোসেন, খোকনের ছেলে লাল্টু, জিল্লুর রহমানের ছেলে আরিফুল এবং নসিমদ্দীনের ছেলে সাইদুর রহমান।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনি বলেন, ফতেপুর গ্রামে ভৈরব নদের মাটি খনন ও বাড়িঘর ভাংচুরের সংবাদ লাইভ করায় আমার নামে হয়রানীমূলক চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ মাটি খনন ও বাড়িঘর ভাংচুরের সাথে অনেকেই জড়িত। যারা আড়ালে থেকে সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এ সংবাদ পরিবেশনের সময় বিভিন্ন মিডিয়া সেখানে উপস্থিত ছিল তাদের নামে মামলা হয়নি। এটা উদ্দেশ্য প্রণদিতভাবে আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান জনি আরো বলেন সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা সাংবাদিক রোবট নয় কিন্তু-আমরা এদেশের প্রথম সারির যোদ্ধাদের মধ্যে একজন-আমাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। সাংবাদিকের কাজ সত্য উন্মোচন করা তাই সাংবাদিকরা সেই কাজটা করবে।
মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরকারি মাটি প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেননি বিষয়টি ভাববার। আবার ভুক্তভোগীরা দিনের পর দিন থানায় ঘুরে মামলা দিতে পারেননা কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা হয়ে গেল। যাদের বাড়িঘর ভাংচুর হলো তাদের মামলা লিপিবদ্ধ হলোনা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে জোর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।