রক্ত পরীক্ষার নামে প্রতারণা, একই রুগীর দুই ধরনের রিপোর্ট
মেহেরপুরে রক্তর গ্রুপ পরীক্ষা করে একই রুগীর শরীরে দুই ধরণের রক্তের রিপোর্ট দিয়েছে একটি প্যাথলজি ক্লিনিক। এমন ঘটনা হরহামেশায় ঘটছে মেহেরপুরে। এভাবেই পরীক্ষার নামে প্রতারণা করে রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন শহরের কিছু প্যাথলজি ক্লিনিক মালিক। কিন্তু সবাইকে ঘুষ দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
মেহেরপুর সদর উপজেলার শুভরাজপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী রিক্তা খাতুনের টিউমার অপারেশনের জন্য তিনি ২দিন আগে মেহেরপুর ২৫০শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৩নং বেড়ে ভর্তি হন। চিকিৎসক পরামর্শ দেন অপারেশনের আগে রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে অপারেশকালে একই গ্রুপের কয়েকজন রক্তদাতাকে তৈরি রাখার। সেই মোতাবেক রোগী রক্ত পরীক্ষা করতে শহরের হুদা হেলথকেয়ার সেন্টারে যান। সেখানে রোগীর রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করে প্রথমে রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ উল্লেখ করে রিপোর্ট দেয়। সেই অনুযায়ী রোগীর স্বজনরা ওই গ্রুপর দুইজন রক্তদাতাকে প্রস্তুত করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রিক্তা খাতুনের স্বামী মিজানুর রহমান জানান- সোমবার ছিল রোগীর অপারেশনের দিন। যথারীতি রোগীকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশনের প্রাক্কালে রোগীর শরীরের রক্তের সাথে রক্তদাতাদের রক্ত ক্রসিংচেক করতে গিয়ে অমিল ধরা পড়ে। তড়িঘড়ি করে রোগীর রক্ত পুনরায় পরীক্ষার জন্য বলা হয়। এবার একই রোগী পুনরায় শহরের হুদা হেলথকেয়ার সেন্টারে গেলে দ্বিতীয় পরীক্ষায় রোগীর রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ ধরা পড়ে। ফলে ওইদিন ওই গ্রুপের রক্তদাতাকে না পেয়ে রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে আবার ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনা হয়। এভাবে প্যাথলজির ভুল রিপোর্টের কারণে থমকে গেল রোগীর জরুরী ভিত্তিতে টিউমার অপারেশন। কে দেবে এর খেসারত।
হুদা হেলথকেয়ার সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান আসাদুল ইসলাম নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলেন- প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে রিপোর্টে ভুল গ্রুপ লেখা হয়েছে। সে কারণে প্রথম পরীক্ষায় রোগীর রক্ত বি পজেটিভ গ্রুপ হয় এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় ও পজেটিভ গ্রুপ হয়।