মোনাখালিতে সংবাদ সম্মেলন করায় জুয়েলকে পিটিয়ে জখম জমি জমা জোর করে আটকিয়ে রেখেছে পরিবারের লোকজন
সংবাদ সম্মেলনের জের ধরে মনিরুজ্জামান জুয়েলকে পিটিয়ে জখম করেছে হামিদ মালিথা ও তার দলবল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় আহত জুয়েলের মাথায় গভীর ক্ষত হয়েছে। তার মাথায় তিনটি সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে মাথার ক্ষত গভীর হওয়ায় সিটি স্ক্যানিং ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবেনা। আহত মনিরুজ্জামান জুয়েল জানান, সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকরা মোনাখালি ছেড়ে চলে যাবার পর পরই হামিদুল মালিথার নেতৃত্বে কাঁদা মালিথা, আব্দুল খালেক মালিথা, আহম্মদ মালিথা সহ তার দলবল দেশী অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর চড়াও হয়।
আমি সংবাদ সম্মেলন কেন করলাম তা জানতে চেয়ে বেধরক মারপিট করে। এসময় আমি মাটিতে পড়ে গেলে তাদের হাতে থাকা থান ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, আমার নানা মরহুম সাদের আলী ১৯৯২ সালে ৬৭ ও ৬৬ নম্বর দলিলে ৮ একর ১৩ শতক জমি আমার মা ও ৪ ভাইবোনকে দিয়ে যান। এর মধ্যে মোনাখালি মার্কেটের ১৭ শতক জমির মধ্যে সরকার ৮ শতক অধিগ্রহণ করে নেয়। এরপর ২০০৪-৫ অর্থ বছরে সে ঐ ৮ শতক বাদ দিয়ে ৯ শতক ৫ জনের নামে খারিজ হয়, আমরা খাজনাও দিয়। এখানে আমার অংশ ১ শতক ৮০ পয়েন্ট। পরবর্তিতে আমার বড় ভাই ২০০৮ সালে তার হিস্যা অনুযায়ী ১০৭২৮ নম্বর দলিলে পুরা জমি বিক্রি করে দেন। আমার বড় ভায়ের অংশ ক্রয়ের পর আমার জমি হয় ২ শতক ২৫ পয়েন্ট। এর পর আমি আমার টুকু খারিজ করে ব্যাংকে বন্দক রাখি। আমার এই জমির খারিজ বাতিলের জন্য আমার পরিবারের লোকজন এডিএম কোর্টে মামলা দেয়। সেই মামলাতে আমার পক্ষে আদালত ডিগ্রী দেন।
এমতাবস্থায় আমার মা হামিদা বেগম উনার প্রাপ্যর ১ শতক ৮০ পয়েট নিজের নামে খারিজ করে নেন। এরপর আমার বাবা আমার নামে ফৌজদারি মামলা দিলে আমি জেলে যায়। আমি জেলে থাকার সময় গোমস্তা আর এসিল্যান্ডের অফিস সহকারী মনিরুলের সাথে আতাঁত করে আমার বাবা-মা আবারও জমি খারিজ করে অন্য ছেলেদের নামে বন্টন করে দিয়েছে। আমি বার বার মার্কেটে আমার পাওনা ঘরটার বিষয়ে পিটিশন দেওয়ার পরও কিসের বলে তারা ঘর আটকিয়ে রেখেছে আমি বুঝতে পারছিনা। আমি এখন ব্যবসা করার জন্য কোন ঘর পাচ্ছিনা। আমি আমার পছন্দের বিয়ে করার কারণে আমার বৌকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি।
এখন আমার ছেলে-মেয়ে, বৌ যশোরে অবস্থান করছে। তাদের ভরণ পোশন আমাকে দিতে হয়। আমি খেয়ে না খেয়ে আমার জমি উদ্ধারের জন্য এখানে পড়ে আছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।