মেহেরপুর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ১০ লক্ষ টাকা চুরি
মেহেরপুর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয় থেকে১০ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে। চুরির নায়ক এই কার্যালয়েরই নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে থাকা সোহাগ নামের এক যুবক। কোমল পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ম্যানেজারকে অজ্ঞান করে চুরি করে পালিয়ে গেছে বলে জানান অফিসের কর্মরত কয়েকজন।
শনিবার দিনগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে চুরির তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস মেহেরপুর কার্যালয়ের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব থাকা মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া বাববরপাড়ার শাহাজান আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ক্যাশ কাউন্টারের ৪টি ড্রয়ারে প্রতিদিনের লেনদেন হিসাবে এই টাকাগুলো গচ্ছিত ছিল।
কর্মচারীরা জানান, সকাল ৯ টার দিকে এসে তারা অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেন। অফিস সময়ে শুরুর পরেও ম্যানেজার ঘুমিয়ে থাকায় তাদের সন্দেহ হয়। নৈশপ্রহরী আর ম্যানেজার কার্যালয়ের ভেতরে রাত্রিযাপন করে থাকেন। তারা ম্যানেজারের রুমে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তোলেন। এরপরে কাউন্টারের ড্রয়ারগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় পান তারা। বিচলিত হয়ে পড়েন কর্মচারীরা। এরপরে কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে সোহাগের চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন তারা।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস মেহেরপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার রুবেল হোসেন জানান, শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তাকে কোমল পানীয় পান করতে দেয় সোহাগ। কোমল পানীয় খাওয়ার পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এরমধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, সোহাগের চাচা ইলিয়াস হোসেন এই কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করেন। চাচার অনুপস্থিতে মাঝে মাঝেই সোহাগ সেখানে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শনিবার রাতে ইলিয়াস হোসেন না থাকায় তার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছিলেন সোহাগ।
মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা বলেন, চুরির সাথে জড়িত সোহাগকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।