মেহেরপুর দোকান ঘরের তালা ঝুলিয়ে দখলের অভিযোগ
মেহেরপুর সদর উপজেলা পিরোজপুর বাজারে দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের হেদায়েত উল্লাহ নামে ব্যাক্তি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দোকানের সাইনবোর্ডের নাম কালি দিয়ে মুছে ফেলে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় হেদায়েত উল্লাহর লোকজন।
স্থানীযরা জানান, পিরোজপুর গ্রামের বাজারের ওপর মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের ৯ শতক জমির উপর পাকা দোকান রয়েছে। যার খতিয়ান নম্বর আর এস ৯৯৭, দাগ নম্বর ২৪১১-১২। উভয়পক্ষের বাড়ীর সীমানা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে হাবিবুরের নামে মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে ২৭০/২০১৭ সালে মামলা দায়ের করে হেদায়েত উল্লাহ। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পিরোজপুর গ্রামে একটি সালিশ বৈঠকে বসে মামলা ও তফসিল বর্ণিত জমির বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। হেদায়েতুল্লাহ দোকান নির্মাণ খরচ বাবদ এককালীন আড়াই লক্ষ টাকা মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয় এবং হাবিবুরের নামে দায়েরকৃত দেং ২৭০/২০১৭ নম্বর মামলাটি নিজ দায়িত্ব আদালতে প্রত্যাহার করে নেবে। দীর্ঘদিন পর হেদায়েতুল্লাহ ওই জমি পুনরায় দখলের চেষ্টা করে। দোকানটি বর্তমান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের শাখা অফিস করা হয়েছে। দোকানের উপরে সাইন বোর্ডে লেখা নাম কালি দিয়ে রাতারাতি মুছে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের নিজস্ব জমির উপর দোকান রয়েছে। দোকানটিতে আমি একটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করছি বর্তমান। গ্রামের কিছু অসাধু ব্যক্তি আছে এই জমি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। ওই জমি নিয়ে মামলা করেছিল আমার নামে। মামলাতে দুইবার আমরা জিতেছি। দোকানটি করেছিল হেদায়েত উল্লাহ। জমির উপর দোকান নির্মাণ খরচ বাবদ হেদায়েতুল্লাহ আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা সালিশের মাধ্যমে নেয়। পুনরায় সে কিভাবে আমার জমির উপরে যায় এটা আমি বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে হেদায়েত উল্লাহ বলেন, অনেক আগেই জমিটা আমরা কিনেছিলাম। পরে জমিটি আমার কাছ থেকে জোর করে কিনে নেয়। ঐ জমিতে দোকান নির্মান খরচ বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন একথা তিনি স্বীকার করেছে।