মেহেরপুর জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার অন্য আয়
এটা কেউ কখনো ধরেনি তাই আমিও বিষয়টা নিয়ে ভাবিনি। আপনি ধরিয়ে দিলেন তাই সমুদয় টাকা জমা করে দিবো। অনুসন্ধানী টিমের কাছে এভাবেই অকপটে স্বীকার করলেন মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমান। নানা অনিয়মের স্বাক্ষাৎকার গ্রহনকালে কথাগুলো বলেন এ কর্মকর্তা।
জানাগেছে, মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমান মেহেরপুরে যোগদান করেন ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারী। অদ্যবধি তিনি আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করছেন অফিস ভবনের ৩য় তলার ডরমেটরি। তবে তিনি আবাসিক বাসা হিসেবে ভাড়া প্রদান করেন না। সরকারীভাবে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করে বাসায় ব্যবহার করেন এয়ার কুলার (এসি)। অথচ প্রতি মাসেই বাড়িভাড়া হিসেবে সরকারী কোষাগার থেকে নিচ্ছেন তার বেসিক বেতনের ৩৫% অর্থাৎ ২৩ হাজার ৯৬১ টাকা। কিন্তু ডরমেটরি হিসেবে ব্যবহার করলেও নিয়মানুযায়ী রুমের জন্য টাকা জমা করতে হয় তাও কখনো করেনি। বিভিন্ন খামার পরির্দশনের জন্য দ্বায়িত্ব থাকলেও সঠিকভাবে তা পালন করেন না, তবে তার বিল তুলে নিতে ভুল করেন না তিনি।
সরকারী গাড়ীর ব্যবহারেও কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেননি কখনো। ইতোপূর্বে ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় অফিসের গাড়িতে নাটোর পর্যন্ত যেতেন। কিছুদিন আগে গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এখন বাড়ি যেতে পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা ট্রেন স্টেশনে দিয়ে আসতে হয় কর্মকর্তাকে।
তবে এসকল অনিয়মের বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
জেলার তিনটি উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালেই নেই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। তবে ভেটেনারী সার্জন রয়েছে তবুও জেলা কর্মকর্তা একাই সবগুলোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, আমি নিয়মিত অফিস করি। আমারও বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এখানে বাসা হিসেবে থাকি না। যেখানে থাকি ওটা ডিডিএআই অফিস। তবে অফিসের কাজ এই অফিসেই করি।
তাহলে আপনার পরিবারের সদস্যরা কি ডিডিএআই অফিসের স্টাফ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আগেতো এভাবে কেউ বাসাভাড়ার এটা কেউ ধরেনি তাই বাসাভাড়ার টাকাও সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়নি। আপনি যেহেতু হিসেবটা ধরিয়ে দিলেন আমি সমুদয় ভাড়ার টাকা জমা করে দিবো।