মেহেরপুর কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির অবৈধ আয় ২ লক্ষ টাকা
তিন মাসের ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সে মেহেরপুর কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা অবৈধ আয়ের অভিযোগ উঠেছে। ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির নির্ধারিত ফি ৩ হাজার ৮শ ৬০ টাকা।
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইড থেকে জানা গেছে, ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সের কোর্স ফি ২ হাজার ৩শ ৫০ টাকা, পরীক্ষা ফী ১ হাজার ৫শ টাকা এবং আবেদন ফরম ১০ টাকা। মোট ৩ হাজার ৮শ ৬০ টাকা নির্ধারিত পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এর বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবেনা।
অতিরিক্ত কোন টাকা নেবার জন্য কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করলে তা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল বা ঔষধ তত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগ করা যাবে।
কিন্তু মেহেরপুরে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে মেহেরপুর কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির অনুদানের নামে ৫শ টাকা এবং বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির ভর্তি ফিস / বার্ষিক চাঁদার নামে আরো ৫শ টাকা সর্বমোট ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে। প্রতি কোর্সে ২শ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। সেই হিসাবে প্রতি কোর্সে মেহেরপুর কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির অবৈধ আয় হয় ২ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, পাশ করার পর ব্যবসা নাও করতে পারি আবার পাশ নাও করতে পারি। তাহলে শিক্ষার জন্য নির্ধারিত ফি দেওয়ার পরও কেন তাদের আমরা অনুদান বা চাঁদা দেবো।
বিষয়টি ঔষধ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ। তিনি আরো বলেন, এ ধরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ একটি বেসরকারি সমিতির হাতে ছেড়ে না দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া দরকার।
গত মঙ্গলবার মেহেরপুর কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিব মেহেরপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই প্রশিক্ষণটি দিয়ে মেহেরপুরবাসীকে আমরা সেবা দিচ্ছি। এখান থেকে আমরা কোন আয় করিনা। ব্যাংকে টাকা জমা দেবার বাইরে একটিও অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।