মেহেরপুর আদালতে আজ তোলা হতে পারে সাবেক মন্ত্রী ফরহাদকে?
মেহেরপুরে দায়ের করা হত্যা মামলায় আজ রবিবার আদালতে তোলা হতে পারে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে। কয়েকদিন ধরে এ গুঞ্জন চলছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোন কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করেনি।
মেহেরপুর জেলা কারাগার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কেউই নিশ্চিত করেনি বিষয়টি। মেহেরপুর প্রতিদিন থেকে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবারই তারা কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি আমানুল্লাহ আল বারী মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি কোর্ট পুলিশ বলতে পারবে । এটি থানার বিষয় না। অপরদিকে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক বলেন, এটি জেল খানার বিষয়। তবে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছেও গতকাল রাত পর্যন্ত কোন বার্তা আসেনি।
তবে ঘটনাটি পরিস্কার হওয়ার জন্য আজ মেহেরপুর আদালতে চোখ রাখতে হবে।
কিন্তু, একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে পুলিশের একটি টিম। তবে, এলাকায় যাতে উত্তেজনাকর কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেকারণে এ তথ্য গোপন করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার পতনের পর সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী এবং মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় তিনটি এবং ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগের সরকারে একই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি। ২০১৪ সালে এক তরফা নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।