মেহেরপুরে ৫ টাকার ঝুরিভাজা কিনলেই মিলছে ১০০ থেকে ১০০০ টাকার নোট
মেহেরপুরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে ঝুরিভাজা। আর এই ঝুরিভাজা ৫ টাকা দিয়ে কিনলেই পুরুষ্কার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকার নোট। তবে টাকা গুলো আসল না এটা নকল। টাকার গায়ে লেখা আছে নমুনা টাকার নোট। হুবুহু টাকার মতই দেখতে এই নকল নোটের লোভে ছোট ছোট বাচ্চারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ঝুরিভাজা কেনার জন্য। তবে এই নকল টাকার অপব্যবহার নিয়েও অনেকেই আশঙ্কা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী, নওদা পাড়া, দারিয়াপুর গ্রামের বেশ কিছু দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই ঝুরিভাজা। নামহীন ভূঁইফোড় কোম্পানির আটা ও চিনি দিয়ে তৈরি এই ঝুরিভাজা কতটুকু স্বাস্থ্যকর এটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
যেকোন ভাজা-পোড়া খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ভেজাল বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা খাবার যদি শিশুর পেটে যায় তাহলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অতন্ত্য ঝুকিপূর্ণ।
মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম বলেন, মাস খানেক ধরে এই ঝুরিভাজা আমর বিক্রি করছি। কোন কোম্পানির পন্য, কোনো অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, এটা আমাদের জানা নেই। বিক্রেতারা নিজেরাই দোকানে দিয়ে যায়। তারা সাইকেলে আবার কখনো ভ্যানে করে আমাদের কাছে নিয়ে আসে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ বলেন, ভেজাল খাদ্য ও অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিরোধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে আমরা ইতিমধ্যে এই ধরনের খাদ্য জব্দ করে বিনষ্ট করেছি। এরপরও যদি কেউ এই ধরনের খাদ্য বিক্রয় করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।