মেহেরপুরে ১০হাজার টাকা,১০বার কান ধরে উঠবস করে মীমাংসা হলো ধর্ষণ চেষ্টা
১০হাজার টাকা ও ১০বার কান ধরে উঠবস করে জোর করে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আফরাজুল আলী বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,১সন্তানের জননী (ছদ্মনাম) পরি খাতুন(২২)কে গত মঙ্গলবার(০৭-জুন) রাত ৯টার দিকে বাড়ির সীমান প্রাচীর লাফ দিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে ধর্ষন চেষ্টা করে ওই গ্রামের ভুমিহীন পাড়ায় ফড়ির ছেলে কাবের আলী(৩০) নামে এক যুবক।পরে (ছদ্মনাম)পরি খাতুনের আর্তচিৎকারে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
(ছদ্মনাম) পরি খাতুনের স্বামী জানান, আমি রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতাল কলেজে চিকিৎসা যাওয়ার সুবাদে আমার স্ত্রী বাড়ীতে একা ছিল। কবের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। তার আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে স্থানীয় মেম্বার ১০ হাজার টাকা এবং ১০ বার কান ধরে উঠবস করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ওই নারী জানান, রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া স্বামী আশিক হোসেনের সাথে তার নানী শাশুড়িকে পাশে নিয়ে ঘরের দরজার সামনে বসে মোবাইলে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কিসের শব্দে চমকিয়ে উঠি আমি,সামনে দাড়িয়ে কাবের দেরি না করে আমার হাত চেপে ধরে।কাবের আলীকে দেখে আমি চিৎকার দিয়ে উঠে, আমার চিৎকারে প্রতিবেশির লোকজন বের হয়ে আসলে কবীর মই বেয়ে প্রাচীর টপকে দ্রুত বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায়।প্রতিবেশি লোক জন টর্চ লাইটের আলো দিয়ে তার পিছনে পিছনে ধাওয়া করলে পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্যে হারিয়ে যায় কাবের।
শালিসের বিষয়ে উক্ত কুতুবপুর ইউনিয়নের ০৪ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফরাজুল আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল আমরা সকালে আপস-মীমাংসা করেছি। আরো বলেন যেভাবেই হোক যা করে হোক।মানি,না মানি( মীমাংসা) হয়ে গেছে।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহা দারা খান পিপিএম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।