মেহেরপুরে হত্যার হুমকীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুর জেলাপরিষদের চেয়ার ম্যান গোলাম রসুলের ভাইয়ের জামাই ও দৈনিক শ্যামবাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলিহোসেনের দশ লক্ষটাকার চাঁদার দাবি ও হত্যার হুমকীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী নিলুফার ইয়াস মিন রুপা।
আজ শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর শহরের রুপা এন্টার প্রাইজে এ সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিলুফা ইয়াসমিন রুপা।
সংবাদ সম্মেলনে নিলুফা ইয়াসমিন রুপা বলেন গত ১১ আগস্ট দৈনিক শ্যামবাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী হোসেন আমাকে ফোন করে আমার সম্পদের হিসাব চেয়ে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে তিন দিন সময় বেঁধেদেন। এর পর গত ১২ আগস্ট দৈনিক শ্যামবাজার পত্রিকার খুলনা বিভাগীয় চিফ আতাউর রহমান ও মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম আমার বাসায় এসে পাঁচ লক্ষাটাকা না দিলে আমার নামে সংবাদ পরিবেশনের ভয় দেখান। এর পর গত ১৬ আগস্ট থেকে আমার নামে ধারা বাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে। আমি গত ১৮ আগস্ট থানায় এজাহার দিলে মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এর পর আমি খুলনা সাইবার ট্রাইবুনালে একটা মামলা দায়ের করি যা প্রক্রিয়াধীন আছে। ৬ সেপ্টম্বর মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দ:বি আইনের ৪৯৯/৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় ৬ জনকে আসামি করে এককোটি টাকা মানহানীর মামলা দায়েরও করেছি।
এর পর শ্রামবাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী হোসেন নিজেকে মেহেরপুর জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান গোলামরসুলের ভাইয়ের জামায়ের পরিচয়ে আমাকে খুন ও গুম করার হুমকী দিচ্ছে।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিলুফা ইয়াস মিন রুপা বলেন, এসকল এর কোন তথ্য প্রমান আমার কাছে নেই।তিনি আইন প্রয়োগ কারি সংস্থার তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যাবসায়ী এবিয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন কোন তালিকায় আমার নাম থাকলে আইনপ্রয়োগ কারী সংস্থা সেটা ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুপা এন্টার প্রাইজের স্বতাধিকারী ও নিলুফা ইয়াস মিন রুপার স্বামী বাবুল আক্তার মিঠু।