মেহেরপুরে সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছেই : দু’দিনে কিশোরীসহ ৩জন নিহত
মেহেরপুরে সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছেই। গত দু’দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় এক কিশোরীসহ ৩জন নিহত হয়েছেন। বেপোরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই এমন দূর্ঘটনা বাড়ছে বলে জানা গেছে। দূর্ঘটনা কমাতে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়দের মধ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন-নসিমন-করিমন,আলমসাধু গাড়ীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। তা না হলে,সড়ক দূর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে। ইদানিং সড়ক দূর্ঘটনায় যুবকরাই নিহত হচ্ছে। পিতা-মাতা তাদের আদরের ছেলেকে আব্দার মেটাতে অপ্রাপ্ত বয়সী ছেলেদের মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন। এসব মোটরসাইকেল পেয়ে ছেলেরা লেখা-পড়ার চেয়ে ঘোরাঘুরি করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য আমরা অভিভাবক কতোটা সচেতন ?
গত ২দিনে বিশেষ করে মেহেরপুর জেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন-মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে স্কুল ছাত্র তানভীর হোসেন (১৪),গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বকুল হোসেন (৫২) ও ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে মানষিক প্রতিবন্ধী হানুফা খাতুন (১৪)।
স্থানীয়রা জানান,বকুল হোসেন কয়েক দিন যাবত শারীরিক রোগে ভূগছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকুল হোসেন মোবাইলফোনে রিচার্জ করতে গাংনী হাসপাতাল বাজারের একটি দোকানে গিয়েছিলেন। রিচার্জ শেষে সে হাসপাতাল বাজারে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় মেহেরপুর শহরের দিক থেকে গাংনী অভিমুখে আসা একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কায় সে গুরুতরভাবে আহত হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষনিকভাবে কুষ্টি য়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালের তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার তানভীর মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ভালাইপুর নামক স্থানে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান।
এদিকে তানভীরের মা-বাবা সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তারা দেশে ফিরলে,তানভীরকে আমঝুপি গ্রামে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থান ময়দানে দাফন করা হবে। তানভীরের মরদেহ বর্তমান রাজশাহী হিমঘরে রাখা রয়েছে।
এছাড়াও মঙ্গলবার দুপুরে গাংনীর কসবা গ্রামের মানষিক প্রতিবন্ধী হানুফা একটি অটোভ্যান থেকে পড়ে নিহত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি অটোভ্যান থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান হানুফা তার পরিবারের একজন সদস্যের সাথে একটি অটোভ্যান যোগে শিশিরপাড়া গ্রামে খালার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার সময় অটোভ্যান থেকে পড়ে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।