মেহেরপুরে সেচ্ছায় রক্ত দান করছে “বন্ধু ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি গাংনী
রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। স্বেচ্ছায় রক্তদানের চেয়ে বড় মানবতার কাজ আর কি হতে পারে! আর এজন্যই মেহেরপুরের কিছু যুবক, যুবতী স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে ও প্রয়োজনীয় রক্ত মানুষের কাছে পৌছে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্লাটফর্ম তৈরী করেন। ফেসবুক গ্রুপ “বন্ধু ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি গাংনী” পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় রক্তের সন্ধান।
স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে এবং অতিপ্রয়োজনে সহজে গ্রহীতাকে রক্তের সন্ধান দিতে গত ৩ থেকে ৪ মাস যাবৎ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সংগঠনটি। গত ৩ থেকে ৪ মাসে এই গ্রুপের মাধ্যমে ১০০ জনের ও বেশি ডোনার সেচ্ছায় রক্তদান করেছে। গ্রুপটির মাধ্যমে রক্ত পেয়েছে অনেক মুমূর্ষু রোগী। এছাড়া যারা সেচ্ছায় রক্তদান করতে ইচ্ছুক তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে রাখছে সংগঠনের সদস্যরা। সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন অভিনব এই ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক।
এই বিষয়ে গ্রুপের আ্যাডমিন মাহামুদুল সোহাগ জানান, আমার এই গ্রুপ খোলার মূল কারণ আমার রিলেটিভ একজনের ব্লাড খুজতে ছিলাম গাংনীতে কিন্তু আমি কোনো ব্লাড ব্যাংক এর সহযোগিতা পাইনাই । গাংনী একটি ব্লাড ব্যাংক আছে কিন্তু তারা বললো আমরা আর ডোনেট করিনা মেহেরপুর এ দেখেন । পরে ব্লাড খুজতে খুজতে তিনি মারা যায় । আমি ভাবলাম আমার মতো এমন রক্তের অভাবে যেনো কারো জিবন না যাই এই ভেবে উদ্যোগ নিয়ে এই গ্রুপ টি খোলা । আমাদের এই গ্রুপে কিছু এডমিন এবং কিছু মোডারেটর নিয়ে কাজ করছি। এই গ্রুপের মাধ্যমে আমরা নিস্বার্থভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই। আশাকরি ভবিষ্যতে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করে বাচিয়ে তুলতে পারবো।
এসময় তিনি আরও জানান, গ্রুপের সদস্য অতি অল্প কিন্তু এখানে যারা আছে তারা প্রচন্ড এক্টিভ, তারা নিজে রক্তডোনেট করে এবং অন্য জনকে রক্ত খুঁজে দিতে সাহায্য করে। গ্রুপটি প্রথম থেকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে আদিবা ইসলাম, ফাতেমা মেহজাবীন আলেয়া, অন্তরা ইসলাম, মুজাহিদ রানা সাহেদ বাদশা, মিথিলা, বুশরা ইয়াসমিন ছাড়াও আরো অনেক ডোনার ও ব্লাড গ্রুপের সাহায্য পেয়েছি। আমরা অসহায় মানুষের পাশে আছি ইনশাআল্লাহ সারা জীবন থাকবো ।