মেহেরপুরে শীতে খেজুরগুড় তৈরীর ধুম

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:34 AM, 11 January 2023

দেরীতে হলেও মেহেরপুর জেলার গ্রামে গ্রামে গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছে। রস বিক্রির পাশাপাশি তৈরী করছেন ক্যামিকেল বিহীন সুস্বাদু গুড়। নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করছেন বিভিন্ন জেলায়।জেলায় বানিজ্যিকভাবে কোন খেজুর বাগান নেই। রাস্তার ধারে বা বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে রয়েছে খেজুর গাছ। গাছিরা এসব গাছ শীত মৌসুম এলেই পরিস্কার করে। তবে আগের মতো পেশাদার গাছি না থাকায় একটু দেরীতে শুরু করেছে গাছের পরিচর্যা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছিরা রস নামানোর জন্য উপকরণ নিয়ে ঘুরছেন এ গাছ থেকে ওগাছে। বালিধারা, গামছা দড়া আর খালুই আর সাথে হাসুয়া ধার দেয়ার জন্য ভাজা বালু নিয়ে হাজির হচ্ছে মাঠে। গাছ পরিস্কার করার পর লাগাচ্ছেন বাঁশের নল ও ঠিলে বা কলস লাগানোর জন্য পুঁতে দেয়া হচ্ছে খোচ।
নওদাপাড়া গ্রামের ওসমান গনীর দুই ছেলে গাছি আবু সাইদ ও সাব্বির হোসেন জানান, শীত আসলেই খেজুর রস ও খেজুরগুড় চাহিদা বেড়ে যাই। আমাদের ৫০ টি গাছ আছে প্রতিদিন ১৫টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি। এতে প্রতিদিন আয় হয় দেড় হাজার থেকে দুইহাজার টাকা।
গাছ প্রতি মালিকদেরকে দুই কেজি করে গুড় দিতে হয়। আবার কেউ কেউ ৫০০ টাকা নিয়ে পুরো মৌসুমের জন্য গাছ লীজ দেন। চলতি মৌসুমে রস ও গুড়ের চাহিদা থাকায় এবার বেশ লাভবান হবেন বলেও জানান এই গাছিরা।
গাংনী মহিলা ডিগ্রীকলেজের প্রভাষক মো রমজান আলী জানান, খেজুরে রসদিয়ে তৈরি ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটি সাপটা, রসপিঠা ও পায়েসসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলির তৈরির ধুম পড়ে যায়। আর খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠাগুলো খেতেও খুব সুস্বাদু। খেজুর রস খেতে সত্যিই সুস্বাদু। খেজুর রস ও বিভিন্ন ধরনের খেজুর গুড়ের পিঠা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা(খামারবাড়ি) শংকর কুমার মজুমদার জানান, শীত মনে করিয়ে দেয় সুস্বাদু খেজুর রস ও গুড়ের কথা। গাছিরা রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন গ্রামে বিক্রয় করে বেড়ায়। তাছাড়া জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করেও বেশি দামে বিক্রয় করে। আশা করছি এবার গাছিরা লাভবান হবে। বিভিন্ন চাষীদের বলাও হয় জমির আইল দিয়ে কিছু খেজুর গাছ লাগাতে। গাংনী উপজেলার মাটি ভালো হওয়ার কারণে রস ও গুড় সুস্বাদু হয়।

আপনার মতামত লিখুন :