মেহেরপুরে রাতের আধারে বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে দুবিত্তরা
জমি দখলকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে নিমার্ণাধীণ বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে দুবর্ৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রত ১১ টার দিকে মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়ায় সোনামিয়ার বাগান খ্যাত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঐ এলাকায় বসবাসকারী ২০ পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছে। রাতেই এলাকাবাসী একজোট হয়ে মেহেরপুর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি মেহেরপুর থানা পুলিশ বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। তবে মেহেরপুর থানা পুলিশের দাবি তাদের চিকিৎসা নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ গত ৪ বছর আগে রোলেক্স এর কাছ থেকে ২০ পরিবার সোনার মিয়ার বাগানে জমি কিনে বসবাস করছে। কয়েক দিন আগে রোলেক্সের চাচাতো দাদা সোনা মিয়া এসকল পরিবারকে উঠে যাবার জন্য হুমকী দেন। এর পর গতকাল শুক্রবার রাতে দেশি অস্ত্র সহ ফারুকের নেতৃত্বে লিপু, রানা, রনক সহ একদল সন্ত্রসী মনির বাড়িতে হামলা করে বাড়ি গুড়িয়ে দেয়। এসময় এলাকার নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও লা িত করে। পরে মেহেরপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ণÍ্রনে আনে। এর পর এলাকাবাসী থানায় আভিযোগ নিয়ে গেলে অভিযোগ না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে মেহেরপুর থানা পুলিশ। তারা আরো বলেন আমরা এখানে জমি কিনে বিপদে পড়েছি। হামলার ভয়ে বাড়ির নারী ও শিশুরা আতংকের মধ্যে রয়েছে।
সোনা মিয়ার ছেলে মবিন উদ্দিন ডিউ বলেন রোলেক্স ও তার চাচা ঘটন জোর পূর্বক আমাদের জমি দখল করে বিক্রর চেষ্টা করে। আমরা আদালতে মামলা দিলে আদালত এ জিমির উপর তাদের নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু রোলেক্স সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২০ পরিবারের কাছে জমি বিক্রি করে। আমরা তাদের জমি নিতে নিষেধ করলেও তারা জমি নেন। তাই আমরাও গতরাতে একটি পরিবারকে উচ্ছেদ করেছি।
রোলেক্স বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোনা মিয়া ও তার ছেলে বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। তখন আমরা আমাদের দখলের জমি রক্ষা করার জন্য ২০ টি ভূমিহীন পরিকবারকে সেখানে থাকার জায়গা করে দিয়েছ। তাদের উচ্ছেদ করার জন্য এ হামলা।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পার পর পুলিশের একটি দল সেখানে যয়। তবে সেখানে কয়েকজন নারি ছাড়া কাউকে পাইনি। এর পর গতকাল রাতেই কিছু নারী থানায় অভিযোগেন জন্য আসে। আমি তাদের হাসপাতাল থেকে প্রাথমক চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি । আজকে হয়তো তারা আসবে।