মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন জেল ও জরিমানা
মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
সেই সাথে দশ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুবছর কারাদণ্ড দেয় আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের উত্তর উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। আসামী পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, ভুক্তভোগী রেবা খাতুন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী সুবাদে আসামী জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল হক রেবাকে ৫০ হাজার টাকায় জর্ডানে ভাল চাকুরীতে প্রেরণের প্রস্তাব দেয়। সরল বিশ্বাস রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যান। ০৪ দিন পর রেবাকে রেখে জাহিদুল চলে যায়। পরে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেবা খাতুনকে মানব পাচারের অভিযোগে রেবার ভাবি গাজু খাতুন আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ২৯/২০১৪।
মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার ততকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)এ. কে. এম. আসাদুজ্জামান