মেহেরপুরে ভিক্ষুকের গাড়ল মেরে দেওয়ার অভিযোগ জামাতার বিরুদ্ধে
মেহেরপুরের সদর উপজেলার বারাদিতে ভিক্ষুকের সাতটি গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) বিষ দিয়ে মেরে দিয়েছে জামাতা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়াল ঘরে থাকা গাড়লকে বিষ মাখানো পাউরুটি খাওয়ালে সাথে সাথেই ৭ টি মারা যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
ভিক্ষুকের মেয়ে লিপা খাতুন বলেন, আমার বাবা একজন ভিক্ষুক মানুষ। বাড়িতে ছোট বড় ১৮ টি ভেড়া রয়েছে। এতো অভাবের মাঝেও এগুলো বিক্রি করে না।
শনিবার সন্ধ্যায় গাড়লগুলোকে ঘরে আটকে আমরা ভাত খাইতে বসেছিলাম কিছুক্ষণ পরেই গোয়াল ঘর থেকে গাড়লের ঘন ঘন ডাক শুনে আমরা সেখানে যায়। আমাদের দেখে কঞ্চির বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায় আমার সাবেক স্বামী সালেমদ্দীন কটা।
এসময় গাড়লের ঘরের মাচায় কয়েক টুকরো পাউরুটি পড়ে আছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৫টি গাড়ল মারা যায়। মারা যাওয়া সবগুলোর পেটেই বাচ্চা রয়েছে। আর বাকি দুটো খাসি গাড়ল তাই সে দুটোকে জবাই করা হয়েছে। সবগুলো মাটিতে পুতে রেখে ১ টি নিয়ে আসা হয়েছে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে ময়না তদন্ত করাতে।
যখন সালেউদ্দীনের সংসারে ছিলাম তখন প্রায়ই সে আমাকে মারতো এবং বলতো বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে। কিন্তু আমি টাকা না দেওয়াতে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো তাই দুই মাস হলো তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সেই রাগেই সে গতকাল রাতে আমার বাবার ক্ষতি করতেই সে গাড়লের গোয়ালে বিষ দিয়েছে। আজ রবিবার সকালে সে ফোন দিয়ে বলেছে গাড়লের ঘরে বিষ দিয়ে ভুল করেছি মাফ করে দিও।
অভিযোগ অস্বীকার করে সালেউদ্দীন বলেন, আমিতো ট্রাক চালায়, গতকাল বিকেলে ধান নিয়ে কুষ্টিয়া হরিপুরে ভাড়ায় এসেছি। আমি এখনো কুষ্টিয়াতে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে তারা এ ঘটনা বানিয়ে বলেছে। গাড়লতো মাঠে চরাতে যায় সেখান থেকেও বিষ খেতে পারে।
মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।