মেহেরপুরে বেড়েই চলেছে সবজির দাম বামন্দী সাপ্তাহিক হাটে ৬০টাকা নিচে মিলছে কোনো সবজি
গেল সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় বাজারে দেখা দিয়েছে সবজির ঘাটতি। সপ্তাহের ব্যবধানে তিনগুণ দামে কিনতে হচ্ছে এসব সবজি। দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে দাবি ব্যবসায়ী সমিতির। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহতের কথা জানালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মেহেরপুরেরর গাংনী উপজেলার বামন্দীর সাপ্তাহিক বাজারের” চিত্র এটি। সকাল থেকেই আনাগোনা বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। তবে সস্থি নেই বাজারে। গেল সপ্তাহে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুন। ফলে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কলা, পটল, বেগুন, বাধাকপি, সিম, কচু, লালশাকসহ বাজারে আসা অন্যান্য সবজির। গত এক সপ্তাহ আগে খোলা বাজারে কলা বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০থেকে ৭৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহে পটল বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫টাকা দরে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০থেকে ৬৫টাকায়। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০থেকে৭০ টাকায়, আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯৫- ১১৫ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি করলা এখন কেজি ১২০টাকা, ঢেঁড়স কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি ও পেঁপে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৬৫ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা এবং কচুমুখি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েম মাস ধরে ৫০০ টাকার উপরে আদার কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে। এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩২৫ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৩০ টাকায়।বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০টাকা থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহিক হাটে দিনে বাজার করতে আসে ক্রেতারা বলছে, বেশিরভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে।
চর গোয়াল গ্রামের এরশাদ আলী জানান, নিত্যপণ্যের দাম শুনে হতাশ হতে হচ্ছে ক্রেতারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।মটমুড়া গ্রামের সবজি ক্রেতা শাকিল জানান,ভোক্তাদের দাবি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে বাড়ছে সব পণ্যের দাম, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন শক্ত বাজার মনিটরিং। বামন্দী-নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হাদি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পণ্যের দাম বাড়া কমার প্রতিযোগিতায় অসহায় ভোক্তরা। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই ক্রেতারা।
রামনগের সবজি বিক্রেতা ইউনুস আলী জানান, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাচ্ছেন না তারা। আঁদা বিক্রেতা মামুন আর রশিদ জানান,আড়তদারের সিন্ডিকেটের কারনে সকল পন্যে দাম বেশি।আলু বিক্রেরতা মকলেচুর রহমান জানান, আড়ত থেকে আমার ৪৪-৪৫টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হচ্ছে তাই আমরা বেশি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, সরকার নামে আলুর দাম বেধে দিয়েছে,কিন্তুু বাজারে এর কোনো কার্ষকারতিতা নেই।
মেহেরপুর জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক সজল আহমেদ জানান, আমি একা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা দুই জেলা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরও আমি প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি।