মেহেরপুরে বারোমাসি থাই কাটিমন জাতের আমচাষে সাফল্য
চাপাইনবাবগঞ্জের পরেই আম বলতে মেহেরপুরের আম। মেহেরপুরের হিমসাগর বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। জেলায় নানাধরণের আম থাকলেও এবার সংযুক্ত হলো বারোমাসি থাই জাতের কাটিমন আম। ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুমিষ্ট ও স্বাদে ভরপুর কাটিমন জাতের আম চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমচাষী মঈন-উল-আলম ওরফ বুলবুল। আমঝুপি বিএডিসি বীজ উৎপাদন খামারের পাশেই বুলবুলের আম বাগান। যেখানে ২৪০টি আম গাছের ডালে ডালে ঝুলছে থোকা থোকা আম।
সরেজমিনে বুলবুল এর বাগান ঘুরে একই গাছে কোনটি পরিপক্ক, কোনটি কাঁচা আবার কোন ডালে দেখা যাচ্ছে মুকুল। গত সপ্তাহে বাজারজাত করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকার আম। প্রতি কেজি আম ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। অপেক্ষায় রয়েছেন আগামী সপ্তাহে আরও ২’শ মন আম বিক্রির জন্য।
আমচাষী বুলবুল জানান, তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় ২ বিঘা জমিতে ২৪০ টি থাই কাটিমনের চারা রোপণ করছিলেন ২০২১ সালের শুরুতে। গাছ গুলোর বর্তমান বয়স মাত্র দেড় বছর। আমের সিজনে তিনি আমের গুটি ঝরিয়ে ফেলেন এবং যখন এলাকায় আম থাকেনা সেসময় বিক্রি করেন। তিনি জানান, বছরে এ গাছ থেকে ৩ বার আম বিক্রি করা যায়।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে তিনি চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। বর্তমানে তিনিও এ বাগান থেকে চারা বিক্রি করছেন।
আমের ফলন ভালো হওয়ায় তিনি বাগান সম্প্রসারিত করবেন বলে জানান।
বুলবুল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সকল খরচ বাদ দিয়ে এ বাগান থেকে কমপক্ষে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। তাছাড়া মেহেরপুর খরা প্রবণ এলাকা। মানুষের বেঁচে থাকার তাগিদে অক্সিজেন ছাড়া সম্ভব নয়। একারণে গাছের বিকল্প নেই। তিনি অক্সিজেনের চাহিদা ও সুমিষ্ট স্বাদে ভরপুর আম এবং অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে বেকার যুবকদের আম চাষে উদ্বুদ্ধকরণের উপর গুরুত্বআরোপের তাগিদ দেন। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানান, ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ২ বিঘা জমিতে কাটিমন জাতের হাইব্রিড থাই বারোমাসি আম চাষে সাফল্য পেয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের চাষী মঈন উল- আলম। তিনার সাফল্য দেখে নতুন করে আরও ৩ জন কৃষক থাই আম চাষের দিকে ঝুকেছেন। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গাছ পরির্চার জন্য চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।