মেহেরপুরে পোকার আক্রমনে আমন ধানের ফলন বিপর্যয়
মেহেরপুরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে পোকার আক্রমনে ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। কারেন্ট পোকার আক্রমন প্রতিরোধে চাষীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ধান কেটে মাড়ায় করে চাষীর কাংখিত ফলনের অর্ধেকও ঘরে তুলতে পারছেনা। ফলে এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরন হবেনা বলে জানাচ্ছে চাষী।
কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের আবাদ হয়েছে ২৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। ধানের শীষ বের হওয়া পর্যন্ত খুব ভাল ছিল আমন ক্ষেত। কিন্তু হঠাৎ বাদামী ঘাস ফরিং বা কারেন্ট পোকার আক্রমন চাষীকে দিশেহারা করে তোলে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাষী বিষসহ পোকা দমনে যত প্রযুক্তি ছিল সব ব্যবহার করেও কোন ফল পায়নি। যার কারনে ধানের ফলন পাচ্ছেনা চাষী। যেখানে এক বিঘা জমিতে ২০-২২ মন ফলন পাওয়ার কথা সেখানে ফলন হচ্ছে ৮-১০ মন। তবে যারা ৭১, ৭৫ ও ৮৭ ধানের আবাদ করেছিল তারা কিছুটা ফলন পাচ্ছে। সেটাও চাষীর কাংখিত ফলন না।
চাষীরা জানায় এবার বিঘাপ্রতি ধান চাষে খরচ হয়েছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। এই ফলনে বাজারে ধানের যে দাম তাতে খরচ উঠবেনা। ধানের বিচালীও ভাল হচ্ছেনা।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানায়, হঠাৎ বাদামী ঘাস ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমনে স্থানীয় ধানের জাতগুলোর ফলন কম হচ্ছে। তবে চাষীরা যদি ধান আবাদে আধুনিক পদ্ধতি ও ভাল জাতের ধান আবাদ করতো তাহলে পোকার আক্রমন প্রতিরোধ করা অনেকটায় সম্ভব হতো।