মেহেরপুরে পরকীয়ার জের ধরে মাঠকর্মী ফারুককে হত্যা, মূল আসামী বড় ফারুক আটক। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
মেহেরপুরে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার আসামী তারই বন্ধু আরেক ফারুক হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক বড় ফারুক হোসেন মেহেরপুর সদর থানাপাড়ার লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
২৫ অক্টােবর (রােববার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার একটি এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে মেহেরপুরে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে,সে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, দুই ফারুক বয়সে সিনিয়র-জুনিয়র হলেও তারা দু’জন বন্ধু ছিলেন। আসামি বড় ফারুক ৭ থেকে ৮ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন যাপন করছিলেন। বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তার স্ত্রীর সাথে নিহত ছোট ফারুকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাস চারেক আগে ফারুক বিদেশে থেকে ফেরার কারণে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারে। পরে প্রবাস ফেরত তার বন্ধু ফারুককে এ সম্পর্ক থেকে সরে যেতে বলে। সম্পর্ক থেকে সরে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে ওসি জানান। তিনি জানান, তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর শহরের তাঁতীপাড়ায় মেহেরপুর শহর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ফারুক হোসেন (৩৯) কে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিকদল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও আসামিদের আটকের চেষ্টা চালায়।