মেহেরপুরে দুইটি আসনের ৯ প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত
মেহেরপুর-১ আসনে চারজন এবং মেহেরপুর-২ আসনে পাঁচজন প্রার্থী জামানত রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রদত্ত (কাস্টিং ভোট) ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন। সে হিসেবে ওই কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় ৯ প্রার্থীর জামানতের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে। প্রচলিত কথায় এসব প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে ৩ লাখ ৩৭ জন ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪১। জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হিসেবে একজন প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ১৯ হাজার ৯৪৩ ভোট পেতে হবে।
ফলাফলে দেখা গেছে, মেহেরপুর-১ আাসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (নৌকা) ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান (ট্রাক) ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পান।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন (ঈগল) ১ হাজার ৪৪০ ভোট, জাতীয় পার্টি প্রার্থী আব্দুল হামিদ (লাঙ্গল) ৮২০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী তারিকুল ইসলাম লিটন (আম) ৪৫৯ ভোট এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট প্রার্থী বাবুল জম (ছড়ি) প্রতীকে ২৪১ ভোট পেয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের শতাংশ হিসেবে চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
অপরদিকে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৯ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ২৮৫ হাজার ৪১১। প্রদত্ত ভোটের হিসেবে জামানত ফিরে পেতে একজন প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ৫২ ভোট পেতে হবে।
এ আসনটিতে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর (নৌকা) ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মকবুল হোসেন (ট্রাক) ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট পান।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী কেতাব আলী (লাঙ্গল) ৮৯৬ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী শাহ জামাল (ছড়ি) ২৯৪ ভোট, বিএনপির সাবেক এমপি তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী আব্দুল গনি (সোনালি আঁশ) ২৯১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী আল ফারুক (ডাব) ২৭৩ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী গোলাম রসুল (আম) ২০৮টি ভোট পেয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের হিসেবে এ আসনটিতে এ প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে একজন প্রার্থীর জামানত জমা ছিল ২০ হাজার টাকা। মেহেরপুর-১ আসনের চারজন এবং মেহেরপুর-২ আসনের পাঁচ প্রার্থীর ওই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এ অর্থ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে।