মেহেরপুরে কয়েক হাজার গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত
মেহেরপুর জেলা ব্যাপী গবাদী পশুর শরীরে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি)। এ রোগে গত এক মাসে জেলায় আক্রান্ত হয়েছে কয়েক হাজার গবাদি পশু। হঠাৎ করে গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার খামারিরা। প্রাণীর সম্পদের কর্মকর্তাদের খোঁজ খবর না নেওয়ার অভিযোগ খামারিদের। তবে প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে- খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় খামার ও কৃষক পর্যায়ে ১ লাখ ৮৭ হাজার গরু রয়েছে। ২০১৯ সালের দিকে ব্যাপক হারে জেলায় লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি) দেখা দিয়েছিল। দুই বছর পর ফের মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে এটা। বর্ষাকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় বলে জানান প্রাণি সম্পদের কর্মকর্তারা। এ রোগ প্রতিরোধে ‘গোটপক্স; ভ্যাকসিন একমাত্র সরকারি ভাবেই পাওয়া যায়। তবে সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন খামারিরা।
মেহেরপুর উজিলপুর গ্রামের খামারী ফজলুল হক বলেন প্রাণী সম্পদের চিকিৎসকেরা গবাদি পশুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে ১২শ থেকে ৫হাজার টাকা দাবি করছেন। আবার ওষুধও দিচ্ছে না। শুধুমাত্র ব্যবস্থা পত্র হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। তারপরও দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়ে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
খামারী সফিকুল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ি থেকে প্রাণী সম্পদ আফিস মাত্র ১ কিলো মিটার দুরে। কিন্তু প্রাণি সম্পদ বিভাগের ডাক্তাদের ডাকলে তারা টাকা ছাড়া আসেনা। ফলে চিকিৎসা ছাড়ায় আমাদের গরুগুলো একে একে মারা যাচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, এ রোগটি মূলত মশা-মাছির মাধ্যমে রোগাক্রান্ত গরু থেকে সুস্থ গরুতে ছড়ায়। আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা করলে দুই সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত গরু সুস্থ হয়ে যাবে । তিনি আরো বলেন খামারিদের ওখানে যেয়ে চিকিৎসক হিসেবে এক দুই হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ নিতেই পারেন। এতে আমি দোষেরে কিছু দেখিনা।