মেহেরপুরে কর্মকর্তাদের দুর্নিতিতে বিলুপ্তির পথে ব্লাকবেঙ্গল ছাগল
পৃথিবীতে এই মূহুর্তে প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম উপায়ে মডিফায়েড মিলে প্রায় ৩০০’র মত জাতের ছাগল আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্থানীয় জাতের কালো ছাগল বা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলকে অন্যতম সেরা জাতের ছাগল বলা হয়। বাংলাদেশের ছাগলের মধ্যে মেহেরপুরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল মাংস গুনে ও চামড়ায় বিশ^সেরা । মেহরপুরের এয় ছাগলের জাত সংরক্ষন ও সম্পাসরনের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি প্রকল্প হাত নিয়েছে একটি ব্লাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রাসরন প্রকল্প অপরটি ব্লাক বেঙ্গল ছাগল জাত সংরক্ষন ও উন্নয়ন গবেষনা প্রকল্প। দুটি প্রকল্পে কর্মকর্তাদের ব্যপক দুর্নিতির কারনে বিলুপ্তির পথে বিশ^ বিখ্যাত ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল।
ব্লাক বেঙ্গল ছাগল জাত সংরক্ষন ও উন্নয়ন গবেষনা প্রকল্প (বি এল আর আই) এর তত্বাবধায়নে মেরহরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে ৩০ জন ছাগল খামারি নিয়ে চলমান প্রকল্পে কোন খামারির কাছে নেয় ব্লাক বেঙ্গল ছাগল । প্রকল্প থেকে কিছু পাঠা বিনামুল্যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও কোন খামারি পাঠা পায়নি । উপরন্ত খামারিদের বরাদ্দের পাঠা খামারিদের দিয়ে উত্তলোন করে খামারি বাড়ি থেকে পাঠা নিয়ে বেচে দিয়েছে প্রকলপ রিচার্স এসোসিয়েট মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না। খামারি পাঠা কিনতে চাইলে সরকারি মুল্য ১২০০টাকা থাকলেও খামারির কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ২০০০ হাজার টাকা । পকল্পের পক্ষ থেকে খামারিদের খাবার ও ঔষদ দেওযার কথা থাকলেও খামারিরা নাম মাত্র ২ বার খাবার পেয়েছে তাও একবার ধানের তুস।
বেঙ্গল ছাগল জাত উন্নয়ন, সম্প্রসারন প্রকল্প প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে মেহেরপুরে প্রতি উপজেলায় ১০জন সিজি এফ ও ২জন ব্যাককিপার খামারি নিয়ে প্রকল্পে সময় শেষ হলেও বরাদ্দকৃত প্রনোদনা পায়নি খামারিরা । খাবার ঔষধ ঘর দুধ বাবদ সিজি এফ খামারিদের ৫৮ হাজার ৮শত টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রকল্পের ২ বছরে শুধুমাত্র ঘর পেছে মাত্র ৬ জন খামারি । বাকি ৪ জনার কাজ চলমান । ব্যাককিপার খামারির জন্য ৩৮ হাজার ৮শত টাকা বরাদ্দ থাকলেও মেহেরপুরের রাফি পেয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা জেলায় বাকি ৫ জন খামারিকে নাম মাত্র কিছু খাবার দেওয়া হয়েছে।
ব্যাককিপার খামারি সুকেন মন্ডল বলেন আমাকে খাবারের বস্তার পাশে দাড় করিয়ে ছবি তুলে নেয়। তারপর শুধুমাত্র একটি ছাগল ঘরের পলাস্টিকের মাচা আর কিছুমাত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দিয়ে খাবারে বস্তা নিয়ে চলে যায় । তারপর আর কোন যোগাযোগ নেয।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খামারি ব্লাক বেঙ্গল ছাগল মেলায় যাদের এয় জাতের ছাগল আছে তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের পুরস্কার দেওয়া হয় । গতবার যেমন রোকেয়া খাতুন । আবার পশু হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলেও এয় জাতের ছাগল পালন করতে নিরৎসাহিত করা হয় ।
গবেষনা প্রকল্পে কোন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল নেয় কেন প্রশ্নের রিচার্স এসোসিয়েট মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না বলেন খামারির তালিকা আমি করিনি তালিকাভুক্ত খামারির কাছে পুর্বে হয়ত এয় জাতের ছাগল ছিলো। তিনি আরও বলেন অল্প বেতনে চাকরি করি তায় পাঠা বিক্রি সহ মাঠে কিছু অনিয়ম করেছি এয নিয়ে নিউজ করেন না।
মেহরপুর প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন গবেষনা প্রকল্পে কিছু মিশ্রন ছাগল আছে। মেহেরপুরে এয় জাতের ছাগল খুজে পাওয়া মুশকিল। রোকেয়া খাতুনের ক্রস ছাগলের ৪ টি বাচ্চা হয়েছে তাই পুরস্কার দিয়েছি। এয় পুরস্কার শুধুমাত্র ব্লাক বেঙ্গল পালনকারি খামরিদের জন্য আপনি রোকেয়া খাতুন কে কিভাবে দিলেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ব্লাক বেঙ্গল পালনকারি খামরি না পেলে আমি কি করবো । মেহেরপুর ব্লাক বেঙ্গল পালনকারি খামরি নেয় তাহলে আপনাদের প্রকল্প কিষের ্ওপর চলছে এয় প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
গবেষনা প্রকল্পে কোন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল নেয় কেন প্রশ্নের জবাবে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল জাত সংরক্ষন ও উন্নয়ন গবেষনা প্রকল্পের পি ডি সাদেক আহম্মেদ বলেন আমি মিটিং আছি মেহেরপুর গেলে আপনাদের সাথে সাক্ষাতে কথা হবে ।
বেঙ্গল ছাগল জাত উন্নয়ন, সম্প্রসারন প্রকল্পের পিডি শরিফুল হক বলেন আমাদের প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্প শেষ তাহলে খামারিরা সরকারের দেওয়া বরাদ্ধ কেন পেলোনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি খোজ নিয়ে জানাবো ।