মেহেরপুরে আগুনে পুড়ে গৃহবধূর মৃত্যু, হত্যা নাকি আত্মহত্যা
মেহেরপুরে আগুনে পুড়ে রুবিনা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রুবিনা ও তার স্বামী মিলন হোসেন বামন্দী পশ্চিম পাড়ার আশরাফ মাস্টার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার গায়ে আগুন লাগে।
আশরাফ মাস্টার ও তার পরিবারের লোকজন জানান, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মুরগির মাংস রান্না নিয়ে মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে স্বামীর উপর অভিমান করে রুবিনা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে স্থানীয় সোনারবাংলা ক্লিনিকে ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসার পর রুবিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেহেরপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল হুদা।
আমাদের সোনার বাংলা ক্লিনিকের পরিচালক ও ডাক্তার নুরুল হুদা জানান, রুবিনা যখন আমার ক্লিনিকে আসে তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেক ভাল ছিল। সে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছিল। সে তার স্বামীর উপর অভিমান করে এবং স্বামী কে ভয় দেখানোর জন্য নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার আত্মহত্যার উদ্দেশ্য ছিল না কিন্তু আগুন লাগার পর অবস্থা বেসামাল হয়ে যায়।
রুবিনার পিতার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আগুনে পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাটি হতো।
নিহত রুবিনা খাতুনের দুই বছর বয়সী এক কন্যা শিশু রয়েছে।
রুবিনা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার টেঙ্গারমাঠ গ্রামের রবগুল হোসেনের মেয়ে। পার্শবর্তী মনোহরপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে মিলন হোসেনের সাথে চার বছর আগে রুবিনার বিয়ে হয়। স্বামী মিলন হোসেন একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে চাকুরির সুবাদে গাংনী উপজেলার বামন্দীর পশ্চিম পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, বামন্দী এলাকায় আগুনে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনই মৃত্যুরহস্য উদঘাটন সম্ভব নয়। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্তে কাজ করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে মূল ঘটনা জানানো সম্ভব হবে।