মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বারাদি হাটের ছাগলের পর্যাপ্ত আমদানি,নেই ক্রেতা

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:48 PM, 17 July 2021

হাটি-হাটি,পা-পা করে আবার এসেছে ঈদ-উল-আযহা।আর ক’দিন বাদেই দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। আগামী ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিম জাতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহার।যা বাকি আর মাত্র ৩দিন।

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে মেহেরপুরের বারাদী বাজার সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ছাগলের হাট এ সময়ে ক্রেতা- বিক্রেতায় জমজমাট থাকে।অথচ করোনার কারণে এখন সেই হাটে নেই কেনা-বেচার হাকডাক। হাটে প্রচুর পরিমানে ছাগল আসলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে।

কোরবানির বাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে মেহেরপুরের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ব্যাপারিরা ভিড় করে থাকে। মেহেরপুর জেলাতে পশু হাট হিসাবে সর্বপ্রথম বারাদী ছাগলের হাট প্রতিষ্ঠিত হয়। যার বয়স শত বছর পেরিয়ে গেছে।

এতদিনে বারাদি ছাগল হাটের কদর কমেনি একবিন্দুও। সারা বছরজুড়েই সপ্তাহের শনি ও বুধবার ক্রেতা বিক্রেতায় ভরপুর থাকে হাটটি। প্রতি বছর এসময়ে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ফরিদপুর, রাজবাড়ি থেকে জেলার ব্লাক বেঙ্গল ছাগল গাড়ল ভেড়া কিনতে ব্যাপারিরা ভিড় করতেন।

ট্রাকবোঝায় করে কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর করোনার কারণে বিক্রেতারা তাদের খামার বা বাড়িতে পালিত ছাগল নিয়ে হাটে গিয়ে বিক্রি না হওয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে। তবে ঈদের আরো কয়েকদিন বাকি থাকায় এবছর এখনও বিক্রির আশায় আছেন ছাগল পালনকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা ছাগল ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারীর কারণে মতো আমরা হাটে ছাগল রিসিভ করতে পারিনি সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তাহাতে এসেছি ছাগল বিক্রি করল কিন্তু এসে দেখি ক্রেতা নেই।

ছাগল কিনতে আসা মুজিবনগরের জাহিদ হাসান জানান, মেহেরপুর জেলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ছাগলের হাট হিসেবে পরিচিত বারাদির এই হাঁটটি। গত কয়েক বছরের তুলনায় বিপুল পরিমাণে ছাগল আসলেও প্রতিটি ছাগলের দাম আকাশছোঁয়া। তাই ছাগল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

আপনার মতামত লিখুন :