মেহেরপুরের উজলপুর গ্রামে সাপ আতংক
মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামে অজনা সাপের আতংক বিরাজ করছে । গত দুই সপ্তাহ আগে ২ জনকে সাপে কাটার পর গ্রামবাসীর মধ্যে এ আতংক শুরু হয়।
গত ১২ মে শেষ রাত্রে কামাল হোসেনের শিশু প্রত্র মুরসেলিন কে সাপে কামড়ায়। এর বেশ কিছুক্ষণপর মুরশেলিন বিষয়টি তার বাবা মাকে জানান। তার বাবা মা তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে হাসপাতালেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এর ১ দিন পর মাঠে কাজ করার সময় হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে সাপে কাটে। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন চিকৎসানিয়ে সে সুস্থ হয়। এর দুদিন দিন পর সকাল ১ টার দিকে উজুলপুর কুঠিপাড়ার চঁাদনি বেগমের হাতে কোন কিছুতে কামড় দেয়। বিকালের দিকে তার জ্বলাপোড়া শুর করে হয়। এরপর পাশ্ববর্তি শোলমারি গ্রামের হাসেম আলী ও রতন উঝার ঝার ফুকে সে ভালো হয়। এভাবে সুলতানা টিপু মনিসহ প্রায় ৩০/৩৫ জনকে সাপে কেটেছে বলে গ্রামবাসীর দাবি। তবে এ পযন্ত কেউ কোন সাপ দেখেনি বওেলও তারা জানান।
গ্রামের চঁাদনি বেগম বলেন এই গ্রামে প্রথম আমাকে সাপে কাটে। কদিও আগে সকাল ১১ টার দিকে আমাকে কোন কিছুতে কামড় দেয়। বিকালের পর থেকে আমার পা ঝিনঝিন করতে থাকে। সন্ধ্যায় আমার স্বামী আমাকে শোল মারি গ্রামের হাসেম আলী উঝার কাছে নিয়ে যায়। উঝা বলে আমাকে সাপে কেটেছে। তারপর তার ঝাড়ি ফুক করে দিলে আমি ভালো হয়ে যায়।
একই গ্রামের নুর আলী বলেন, আমাকেও সাপে কেটেছে। বুৃকে শাপে কাটার দাগ এখনো আছে। হাসেম আলী উঝার কাছে ঝা্ড়ফুকেতর পর সুস্থ হয়েছি। সন্তান পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে ওঝার কাছ থেকে কার পড়া নিয়েছি। তিনি আরো বলেন সাপের কামড়ে যদি বিষ থাকে তাহলে ওঝাকে ৫শ টাকা আর না থাকলে ৩শ টাকা দিতে হচ্ছে।
শরিফ হোসেন বেলেন, আজ সোমবার সকালে আমার স্ত্রীকে কোন কিছুতে কামড়িয়েছে। তবে শাপে কামড়িয়েছে বলে আমার বিশ্বাস হয়না তারপরও অতংকে কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম । তিনি বলেছেন কিছুতে কামড়ায়নি।
কতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যেন সেলিম রোজা বলেন সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু এর পর পরই আরো একজনকে সাপে কামড়ানোর পর থেকে গ্রামে সাপে কামড়ানোর গুজব শুরু হয়। আমরা ইতিমধ্যে শাপে কামড়ানোর গুজবের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারনা শুর করেছি। গ্রামবাসিকে সচেতন কওে তুলতে চেষ্টা করছি।
মেহেরপুর সিভল সার্জেন ( ভারপ্রাপ্ত) ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, ইতি মধ্যে আমি সহ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের একটি দল গ্রামটি পরিদর্শন করেছি।
এ অতংকের কোন সত্যতা আমরা পাইনি। তবে পাশ্ববতি শোলমারি গ্রামের হাসেম আলী ও রতন সহ বশে কয়েক জনের একটি চক্র গ্রামে অতংক ছড়িয়ে ফয়দা লুটছে। আমরা তাদেও প্রাথমিক ভাবে শতর্ক করেছি। এবং আজ দুপুরের মধ্যে তারা এ কাজ বন্ধ না করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আটক করা হবে। এ ছাড়া একটি মেডিকিল টিমও উজলপুর গ্রামে মানুষের মনবল ধওে রাখতে সর্বক্সনিক কাজ করছে।