মেধাবী ছাত্রী সামিরার তার স্বপ্ন ফিরে পেতে চায়
মেধাবী ছাত্রী সামিরা। একটি দুঘটনা তার স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। জীবনে যুদ্ধ করার জন্য যেন তিনি এসেছেন পৃথিবিতে। তিন মাস বয়েসে হারিয়েছেন মা তার পর বাবা আরকোন খোঁজ খবর রাখেনি। এর পর অসহায় সামিরন বৃদ্ধা নানির কাছে মানুষ হতে থাকে। প্রাইমারী পেরিয়ে নানি আর নিজের রুটি রুজির হাল ধরেন সামিরা।
নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে এস এসসি , এইচ এসসি পাশ করে মেধাতালিকায় চান্স পেয়ে কুস্টিয়া ইসলামী বিশ^ বিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু বিধির বাম ২০১৮ সালে একটি মাত্র দূঘটনা তার জীবনের সব কিছু লন্ড ভন্ড করে দিয়েছে। এ দুঘটনায় সামিরার স্নায়ু ও গলার স্পাইনাল কর্ড ক্ষতি গ্রস্থ হয়।
মেহেরপুর সদর উপজেলার দারিয়াপুর উত্তর পাড়ায় জামে মসজিদের পাশে একটি পাঁকা ঘরের বারান্দায়নানী নাতনী বর্তমানে অর্ধহারে আনাহারে দিন যাপন করছে।
সামিরার নানি বৃদ্ধা জহুরা বেগম বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সমামিরাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভাব।এ চিকিৎসার জন্য দরকার প্রায় তিন লক্ষ টাকা। যেখানে দিনে আমরা ঠিকমতো খাবারেরই সমর্থ নেই সেখানে চিকিৎসা করাবো কি দিয়ে। তিনি আরো বলেন সরকার যদি সামিরার চিকৎসার ব্যায় ভার নিতো তাহলে আমি নিশ্চিন্তে মরতে পারতাম।
মেহেরপুর ফেসবুক উদ্যোক্তা সংগঠনের সংগঠক সুবেহ সুলতানা জ্যোতি বলেন, অসুস্থ সামিরা আমাদেরই বন্ধু। সে তার দরিদ্রতাকে জয় করে এগিয়ে চলে ছিলেন। কিন্তু একটি দুঘটনা তার সকল স্বপ্নকে ধুলিসাৎ কওে দিয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদেও সাধ্যমতো সামিরার পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। সেই সাথে দেশের বৃত্তবানদেরর তার চিকৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করবো।