মুজিবভক্ত চারু তারিন, সুই-সুতাই এঁকেছেন বঙ্গবন্ধুর শতাধিক ছবি
মেহেরপুরে বঙ্গবন্ধুর শত ছবি এঁকেছেন তারিন। সে মেহেরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। মেহেরপুরের মানুষ তাকে চারু তারিন নামেই বেশি চেনে। ২৪ বছরের এই তরুণী মুজিবশত বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে সুই-সুতা দিয়ে এঁকেছেন জাতির পিতার নানা আঙ্গিকের শত ছবি। তারিনের ইচ্ছা বঙ্গন্ধুর ১ হাজার ছবি আঁকা।
জানা যায়,বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে মুজিববর্ষের শুরু থেকে তিনি ছবি আঁকা শুরু করেন। প্রথম অবস্থায় রং-তুলি দিয়ে আঁকলেও এখন সুই-সুতা দিয়ে আঁকছেন। বঙ্গবন্ধুর এই ছবিগুলো বিতরণ করবে মুজিবপ্রেমীদের মধ্যে। ইতোমধ্যে তার আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি খুলনা, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ শতাধিক মুজিবপ্রেমীর হাতে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিতরণ করেছেন। তার আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি এপার বাংলা-ওপার বাংলায় বিনামূল্যে ৩৭টি বইয়ের প্রচ্ছদ হিসেবেও ছাপা হয়েছে।
তারিন গাংনীর চোখ’কে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর গৌরবোজ্জ্বল চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আমার এই প্রচেষ্টা। ১ হাজার ছবি এঁকে প্রদর্শনী করার ইচ্ছে আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটা স্বাধীন বাংলাদেশের। একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই আমার ইচ্ছে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাহলে আমার সপ্নপূরণ হবে।
তারিনের মা জাহানারা বেগম গাংনীর চোখ’কে বলেন, মেয়ে নানা প্রতিভার অধিকারী হলেও সে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তার কাছে সেরা। আমরা তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
অল্প বয়সে ছবি এঁকে তারিনের পুরস্কার ও স্বীকৃতির ঝুড়িও বেশ ভারী। ইতিমধ্যে চিত্রশিল্পী হিসেবে এস এম সুলতান পুরুষ্কার, চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন পুরুষ্কার, হাসান স্মৃতি পুরুষ্কার তিনি পেয়েছেন।
তারিনের বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার এই বিরল দৃষ্টান্তের বেশ প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান গাংনীর চোখ’কে বলেন, তারিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। সেই সাথে তার সপ্ন বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশসান সহযোগিতা করবে।