মিথ্যা নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের মামলার আতংকে গাংনীর ছাতীয়ানবাসী
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ছাতীয়ান গ্রাম একের পর এক মিথ্যা নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করছে তৃপ্তি খাতুন(২৪) নামে এক নারী এ অভিযোগ গ্রাম বাসির। ধর্ষন মামলা থেকে রক্ষা পাইনি নিজের স্বামীও।
গ্রাম বাসী অভিযোগ করে বলেন, তৃপ্তি নিজের দুই দেবরকে নিয়ে মাদক ও নারী ব্যবসার সাথে জড়িত। আমারা গ্রামের সকলে এই ব্যবসা বন্ধের জন্য চাপ দিয়ে আসছি। আর এই চাপ দেওয়াটা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। যে তার এই ব্যবসার প্রতিবাদ করে তাকেই সে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসায়। এর পর তার চাহিদা মতো টাকা দিলে সে মামলা সে তুলে নেয়।
এলাকার প্রবিন ব্যক্তি ও মাতব্বর জিল্লুর রহমান, বলেন প্রতি মাসেই একজন না একজন পুরুষ তৃপ্তির টার্গেটে পড়ে এর পর তাকে ধর্ষন বা নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়ে তার কাছ থেকে মোটা আংকের টাকা আদায় করে। আর টাকা না দিলে কুমারিডাঙ্গা ক্যাম্পের এস আই আব্দুল আলিমের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যেয়ে অত্যাচার চালিয়ে কোটে চালান দেয়।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েক মাসে ৫ জন পুরুষের কাছ থেকে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে লক্ষ টাকা আদায় করেছে। এর মধ্যে বাওট গ্রামের সবুর, শুকুরকান্দির জাহিদ ও জেকের নাম উল্লেখযোগ্য।
তৃপ্তির রোষানালের শিকার আ: রাজ্জাক বলেন, ধর্ষন মামলায় আড়াই মাস জেল খেটে জামিনে বেড়িয়ে এসেছি। কিন্তু তাকে ধর্ষন করলাম গ্রামের কেউ জানলো না। তার বাড়ির সামনে থেকে কুমারীডাঙ্গা ক্যাম্পের এস আই অব্দুল আলিম ও আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে জানালো আমি ধর্ষনের চেষ্টা করেছি। আমাকে তুলে নিয়ে ক্যাম্পে চলে গেলো। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পাড়ায় আমাকে কোটে চালান দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হলে।
কোহিনুর বেগম নামে এলাকার এক প্রবীন নারী বলেন, সে খুব খারাপ মেয়ে। তাকে নিয়ে বলতেও ভয় লাগে কি বিপদ না হয়ে পরে। সে তার স্বামী জাকিরের নামেও ধর্ষন মামলা করেছে। বিয়ে করা বৌকে কেউ ধর্ষন করে কখনও শুনেনি।
তৃপ্তি খাতুন বলেন, অভিযোগ গুলো সঠিক নয়। আমি এ পর্যন্ত মাত্র তিন টা নির্যাতনের মামলা করেছি। তবে আ: রাজ্জাক ও জাহেরুলের বিরুদ্ধে মামলা করা সঠিক হয়নি। এটা আমি রাগের মাথায় করেছি।
তিনি আরো বলেন, এ সব নিয়ে লিখেন না। এখন ধর্ষনের বিরুদ্ধে কোন নিউজ হয়না । আর যদি নিউজ করেনই তাহলে আপনার নামেও ধর্ষন মামলা করবো।
জানাযায় কুমারীডাঙ্গা পুলিস ক্যাম্পের এস আই আব্দুল আলিম চট্রগ্রামে ট্রেনিং এ এসেছি। ট্রেনিং থেকে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।