মা হারানো বাদশার গল্প, মা বলে টাকা ইনকাম করে দিলে খেতে দেব নাহলে দেব না
যে সময়টি তার স্কুল যাওয়ার সময়,খেলাধুলা করার সময় কিন্তু সেই সময়ই নেমেছে জীবিকার যুদ্ধে হা সকলের উদ্দেশ্যে জানাতে চাই সে আর কেউ নয় মেহেরপুর গাংনী উপজেলা মা হারানো বাদশা(১২)।
জন্মের ১ বছর ১ মাস পরেই জমজ দুই ভাই ও দুই বোনকে রেখে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাই। পরবর্তীতে রাজার বাবা মামলত দ্বিতীয় বিয়ে করে আনে। তখন থেকে রাজা বাদশাসহ আরও দুই বোন অন্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দু’মুঠো ভাতের জন্য।
রাজা-বাদশা বিভিন্ন সময় ছোটখাটো ব্যবসা করে থাকে যেগুলো তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। হঠাৎ হাঁটতে হাঁটতে চরগোয়াল গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠের সামনে ডিম বিক্রি করতে দেখা যায় রাজা কে।
তাকে প্রশ্ন করা হলো এই এতোটুকু বয়সে তুমি ডিম বিক্রি করছ কেন। জবাবে বাদশা জানান, কি করবো এই ডিম বিক্রয়ের টাকা মায়ের(২য় মা) হাতে তুলে না দিলে তারা ঠিকমতো খেতে দেবে না। যখন কোনো কাজকাম থাকেনা তখন মাঠে যায় বাড়িতে ছাগল আছে ছাগলের ঘাস পাতা নেওয়ার জন্য। যদি কখনো আনতে না পারি ঘাসপাতা তাহলে খেতে দেয় না।
এই শীতের সময় তোমার পোশাক আছে এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, আমি যে পোশাকটি পড়ে আছি এই পোশাকে ঠিকমত শীত ভাঙ্গেনা তাছাড়াও আমার একটিমাত্র ফুলপ্যান্ট। আপনারাই দেখেন আমার ফুলপ্যান্টি ছিড়ে গেছে যদি ডিম বিক্রয় করে লাভ করতে পারি সেই লাভের টাকা থেকে আমি একটি প্যান্ট কিনব।
রাতে ঘুমানোর জন্য তোমার কম্বল আছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমার দাদী মারা গেছে আমার দাদী একটি কম্বল ও একটি লেপ আমাকে দিয়ে গেছে মা কম্বলটি কেড়ে নিয়েছে। যদি কম্বল চাইতে যায় তাহলে আমাকে গালমন্দ করে এবং মারধর করে।
বাদশা কে প্রশ্ন করা হয় তোমাকে যদি ১খাচি(৩০টা) ডিম কিনে দেয়া হয় তাহলে তুমি কি করবা উত্তরে বাদশা জানান, এই ডিম বিক্রি করে আমি আমার ছোট ব্যবসা কে বড় করতে চাই।
বাদশার মত বিত্তবানদের অনেক ছেলে আছে যারা শুধুমাত্র খেলনা টাকা দিয়েই এরকম হাজারো বাদশাকে চালানো যায়। সেই সকল বিত্তবানদের কাছে আকুল অনুরোধ যদি এইরকম বাদশার দিকে আপনারা একটু সুদৃষ্টি দিতেন,তাহলে আজ বাদশার মত কোন ছেলে এভাবে কনকনে শীতে ডিম বিক্রি করতো না হয়তো তারা আজ পড়ার টেবিলে।
আসুন আপনার বাড়ির আশেপাশে যারা এরকম ছোট শিশু আছে যার মা নেই বাবা নেই তাদেরকে আমরা সাহায্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিজের সন্তান মনে করে মানুষের মত মানুষ গড়ে তুলি।
যার যতটুকু সম্ভব বাদশাকে আপনারা সাহায্য করবেন এটাই আমার আকুল অনুরোধ। বাদশা কে বিকাশের মাধ্যমে আপনারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন তাছাড়াও নিজ ইচ্ছায় বাদশার বাসায় এসে তাকে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেবেন।
বিকাশঃ০১৯১৯-৭৩৫৬৪৫, এছাড়াও গাংনীর চোখ এর সাথে যোগাযোগ করে আপনারা তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। গাংনীর চোখ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নংঃ০১৭১৯-৩৯৩৩৪৪