“মা ওরা আমাকে কী যেন খাওয়ায়ছে। আমার বুকের মধ্যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছ। আমি মনে হয় আর বাঁচব না।”-সৌরভ
তিন বন্ধুর সাজেক ভ্রমণ শেষে ঢাকায় ফিরে সৌরভ হোসেন নামের এক বন্ধুর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বন্ধুদের দাবী, সৌরভ সড়ক দুর্ঘনায় মারা গেছে। তবে তার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে সৌরভকে।সৌরভ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের মৃত ময়নাল হকের ছেলে। তার মৃতদেহ বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুুতি চলছে।
সৌরভের পারিবারিক সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫-১২-২০২২) সৌরভ হোসেন তার বন্ধু বামন্দী গ্রামের মৃত গোলাম কাওছার বুলুর ছেলে কনক বিশ্বাস, চর গোয়ালগ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে ইলিয়াছ হোসেন মোটরসাইকেল যোগে বান্দরবান ও সাজেক ভ্যালিতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে বেড়ানো শেষে তারা ঢাকায় ফিরে আসে। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বরে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। গতরাতে সৌরভের বন্ধু কনক মোবাইল ফোনে তার মাকে মৃত্যুর খবর জানায়।
বন্ধু কনক জানান, হোটেলে কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়ার পর তারা আবারো ঘুরতে বের হয়। কনক বিশ্বাস মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং সৌরভ হোসেন পিছনে বসে ছিল। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা উত্তরা বলাকা নামক স্থানে পেঁৗছুলে সৌরভ হোসেন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। পরে তাকে একটি মাইক্রোবাসে করে নেয়া হয় আবাসিক হোটেলে। ঘন্টা দেড়েক পরে সৌরভের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সৌরভকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবী করে সৌরভের মা বলেছেন, মৃত্যুর আগে সৌরভ তাকে ফোন দিয়ে বলে, “মা ওরা আমাকে কী যেন খাওয়ায়ছে। আমার বুকের মধ্যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছ। আমি মনে হয় আর বাঁচব না।” এর পরে সৌরভের মৃত্যুর খবর আসে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সৌরভের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থল ঢাকাতে হওয়ায় সেখানে বিষয়টি জানানোর জন্য পরিবারকে বলা হয়েছে।
শাহাবাগ থানার ওসি ওয়াদুদ হাওলাদার জানান, এ ব্যাপারে মেডিকেল থেকে কেউ জানান নি। সংবাদ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।