মহান বিজয় দিবসে গাংনীর হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অশ্লীল নৃত্য
মেহেরপুরের গাংনীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলো সরকারী বেসরকারীভাবে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বহিরাগত মেয়ের হিন্দি গানের তালে অশ্লীলভাবে নাচতে দেখা যায়। অশ্লীল এ নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এতে বিভিন্নস্তরের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
মোবাইলে ধারণ করা ২ মিনিট ০৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়। দুই একটা খারাপ গান হতেই পারে বলে মন্তব্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের।
সাঈদ আনোয়ার নামের এক যুবক জানান, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে কি এই স্বাধীনতা হয়েছে। বিজয় দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম অশ্লীল নাচ যা আমাদের কাম্য ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অশ্লীলতার সৃষ্টি হবে। শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে এক স্কুল ছাত্রী জানান, হিন্দি গানের সাথে সাথে খারাপ নাচ হয়েছে। এই নাচগুলো দেখে আমাদের অনেক খারাপ লেগেছে কিন্তু স্যারের ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনি। পরিবারের লোকজন ওই স্কুলে আর যেতে দিতে চাচ্ছে না।
হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুই একটা খারাপ গান হতেই পারে, এগুলো না লিখে বিদ্যালয়ের ভালো কিছু তুলে ধরেন।
গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন অশ্লীল নৃত্য মেনে নেওয়া হবে না। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে, ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যদি ওই বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে অশ্লীল নৃত্য হয়ে থাকে তাহলে খতিয়ে দেখে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্যঃ মহান ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বাহিরের নৃত্যশিল্পী এনে অশ্লীল নাচ পরিবেশন করা হয়।