“বেগম রাজিয়া নাসের এক ধৈর্যশীল,দৃঢ়চেতা,সংগ্রামী নারীর প্রতিচ্ছবি”

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:56 PM, 03 January 2021

পাবনার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হেরাজ বিশ্বাসের অতি আদরের তনয়া বেগম রাজিয়া নাসেরের জন্ম ১৯৩৪ সালে।পাবনার ঐতিহ্যবাহী হেরাজ ম্যানসনের মালিক হেরাজ বিশ্বাস ব্যবসায়ীক কারনে খুলনায় পাড়ি জমান এবং খুলনাতেই স্থায়ী হন।ফলে রাজিয়া নাসেরের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠাও খুলনা শহরে।

অতি সুদর্শনা ও বুদ্ধিমতি রাজিয়া নাসের লেখাপড়ার পাশাপাশি বেশ সংস্কৃতমনা ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের থাকতেন খুলনায়।ছিলেন নামকরা ঠিকাদার।শেখ আবু নাসের অবশ্য ব্যবসার সাথে জড়িত অনেক অল্প বয়স থেকেই।১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে যখন গ্রেফতার হন তখনকার গোয়েন্দা নথিতেই দেখা যায় শেখ আবু নাসের বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ছোট ভাই।যার পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে ব্যবসা।গোয়েন্দা নথি অনুসারে শেখ আবু নাসের তখন দশম শ্রেণির ছাত্র।

১৯৫৭ সালে শেখ আবু নাসেরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বেগম রাজিয়া নাসের। যখন বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়ী এম এল এ (Member of Legislative Assembly) এবং পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদক।রাজনৈতিক পরিবারে বিয়ে হওয়ার কারনে জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পার করতে হয়েছে বেগম রাজিয়া নাসেরকে।

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের পর বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উদ্বেগ,উৎকন্ঠা আর চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছিলেন।এমনি সময়ে বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ জামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।শেখ জামালকে খুঁজতে থাকা পাক হানাদার বাহিনী ১৯ শে মে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হানা দেয়।শেখ জামালকে না পেয়ে ক্ষোভের আগুনে পুড়তে থাকা হানাদার বাহিনী টুঙ্গিপাড়াস্থ বঙ্গবন্ধু ও শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

এ সময় জীবন বাঁচাতে ঢেঁকিঘরে আশ্রয় নেওয়া বেগম রাজিয়া নাসের শিশুপুত্র শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলকে ফিডার খাওয়াচ্ছিলেন।বর্বর হানাদার বাহিনী ঢেঁকিঘরে ঢুকে ফিডার কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে এবং ঢেঁকিঘরেও আগুন লাগিয়ে দেয়।সন্তানদের নিয়ে কোনরকমে প্রাণ বাঁচান তিনি।

শেখ আবু নাসের ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণার পর শেখ আবু নাসের ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এসে ছাত্র,যুবকদের সংগঠিত করেন।টুঙ্গিপাড়ার তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা পান্না বিশ্বাসসহ কয়েকজনকে নিয়ে ভারতে গিয়ে টাকি ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে বাগেরহাট,সাতক্ষীরা এবং সুন্দরবন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।তখন শেখ আবু নাসের এবং রাজিয়া নাসেরের পুত্র এবং কন্যা সকলেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন।

ফলে মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ৯ মাস বেগম রাজিয়া নাসেরকে অনেক কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।অনেক সংগ্রাম করে তাকে দীর্ঘ ৯ মাস চলতে হয়েছে।৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর তাকে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।১৪ ই আগষ্ট রাতে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে খুলনা আসার উদ্দেশ্যে শেখ আবু নাসের তেজগাঁও বিমানবন্দরে চলে আসেন।কিন্তু পরদিন অর্থাৎ ১৫ ই আগষ্ট সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রাম থাকায় বঙ্গবন্ধু খবর পাঠিয়ে শেখ আবু নাসেরকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে ফেরত আসতে বলেন।

এ কারনে শেখ আবু নাসের খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা না হয়ে আবার বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির-৩২ নম্বর বাসভবনে ফিরে যান।ঐ রাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।দেশবিরোধী খুনীচক্র বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র ১১ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর একমাত্র কনিষ্ঠ ভ্রাতা শেখ আবু নাসেরকেও হত্যা করে।ভোর রাতে ঘটা ইতিহাসের এই নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ঘটনা যখন বেগম রাজিয়া নাসের সকাল ৬ টায় টেলিফোন বাজার শব্দে ঘুম ভাঙার পর জানতে পারেন তার হৃদয়ের সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করার মত,তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কেউই ছিল না পাশে।

বেগম রাজিয়া নাসের কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।১৯৫৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে যার সার্বক্ষণিক পথচলা তিনি তো নিজে চোখে সব দেখেছেন বঙ্গবন্ধু বাঙালীর স্বাধীকার ও স্বাধীনতার জন্য কত আত্মত্যাগ করেছেন।বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছরের জেল জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন খুব কাছ থেকে।যে বাঙালীর অধিকার আদায়ের জন্য,বাঙালীর আজন্ম লালিত একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু টানা প্রায় সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে নির্মম নির্যাতন সহ্য করেছেন,দু দু’বার ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন।

তাকে কোন বাঙালী হত্যা করতে পারে এমনটি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বেগম রাজিয়া নাসের।কিন্তু দৌড়াতে দৌড়াতে মামা শেখ আবু নাসেরের বাসায় আসা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে খুলনার বয়রায় বসবাসকারী ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী এবং বেগম রাজিয়া নাসেরের বাসায় থাকা এক ভাই সহ ঢাকার ঘটনা জানাতে ছুটে আসা অন্য ভাইদের মুখে একই খবর শোনার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল বেগম রাজিয়া নাসেরের।

কি করবেন কিছুই যেন বুঝতে পারছিলেন না।শোকে মুহ্যমান রাজিয়া নাসের বঙ্গবন্ধু,আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় টেলিফোন করতে লাগলেন।কিন্তু কোন বাসা থেকেই কেউ টেলিফোন ধরলেন না।শোকে মুহ্যমান বেগম রাজিয়া নাসেরকে তার ভাইয়েরা নিয়ে গেলেন তার বাবার বাসায়।

স্বামী হারানোর শোক,আতঙ্ক আর চরম নিরাপত্তাহীনতায় অস্থির সময় কাটতে থাকা রাজিয়া নাসের যখন শুনতে পেলেন ১৬ ই আগষ্ট সকালে বঙ্গবন্ধুর লাশ টুঙ্গিপাড়ায় আনা হচ্ছে দাফনের জন্য।ভেবেছিলেন তার স্বামী শেখ আবু নাসেরের লাশও হয়ত আনা হবে।স্বামীর লাশ একনজর দেখা এবং দাফনে অংশগ্রহণ করার জন্য ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা বেগম রাজিয়া নাসের নাবালক সন্তানদের নিয়ে লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছিলেন টুঙ্গিপাড়ায়।

বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব,শিশু শেখ রাসেল,শেখ কামালের নববিবাহিতা স্ত্রী সুলতানা কামাল,শেখ জামালের নববিবাহিতা স্ত্রী রোজি জামাল এবং শেখ ফজলুল হক মনির অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনির খুন হওয়ার সংবাদ শোনার পরও তিনি মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়েই টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন।কারন তিনি জানতেন পরিবারের অন্য সদস্যদের মত তারও একই পরিণতি হতে পারে!এই ঘটনায় প্রমাণ করে স্বামীর প্রতি তার ভালোবাসা কতটা গভীর ছিল এবং তিনি কতটা সাহসী নারী ছিলেন।

এত কষ্ট করে গিয়েও তাকেও ফিরে আসতে হয়েছিল।কারন খুনীচক্রের বাধায় বেগম রাজিয়া নাসেরের লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে পারেনি।ক্রন্দনরত অবস্থায় চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তাকে আবার ফিরে আসতে হয় খুলনার শেরে বাংলা রোডের বাসায়।কিন্তু নিজের বাসায় ঢুকতে পারেননি বেগম রাজিয়া নাসের।

কারন ততক্ষণে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী গঠিত খুনীদের পৃষ্ঠপোষক অবৈধ সরকার শেখ আবু নাসেরের বাড়ি সিলগালা করে দিয়েছে।যেন এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি তিনি।চলে যান বাবা হেরাজ বিশ্বাসের বাড়িতে।কিন্তু সেখানেও বেশিদিন থাকা সম্ভব হয়নি।কারন অবৈধ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় খুনীচক্র সেখানে গিয়েও বাবা এবং ভাইদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন তাকে না রাখার জন্য।এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে চলে যান পাবনায় দাদার বাড়িতে।কিন্তু সেখানেও সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন।

কারন বাবা হেরাজ বিশ্বাসের পরিবারও ছিল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পরিবার।চাচাতো ভাই ফজলুল হক মন্টু ছিলেন পাবনা জেলা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার।ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ঐ সরকারের দ্বারা হেরাজ বিশ্বাসের পরিবারকেও অনেক জুলুম,নিপীড়ন ও অত্যাচার,নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

বেগম রাজিয়া নাসেরের বড় ছেলে বর্তমান বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন ছিলেন তখন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র।খুনীচক্রের একটি দল সেখানে গিয়ে শেখ হেলালকেও উঠিয়ে এনে হত্যা করার চেষ্টা করেন।কিন্তু ক্যাডেট কলেজের প্রিন্সিপ্যালের দৃঢ়তায় সেদিন শেখ হেলাল প্রাণে বেঁচে যান।

এভাবে একের পর এক বৈরী পরিবেশ মোকাবিলা করেই বেগম রাজিয়া নাসের তার সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।সরকারের নির্দেশে শেখ আবু নাসেরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং সকল ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।ফলে নিদারুণ অর্থ কষ্ট ও একসময় ভোগ করতে হয়েছে।জীবন সংগ্রামী বেগম রাজিয়া নাসের একসময় সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে পাবনা থেকে খুুলনায় ফিরে আসেন।

খুলনায় এসে মেয়ে শেখ মীনা এবং ছেলে শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল(বর্তমান মাননীয় সংসদ সদস্য খুলনা-২)কে সরকারি স্কুলে ভর্তি করলেও সরকারের নির্দেশে পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি বাতিল করে এবং স্কুল থেকে তাদের নাম পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়।বেগম রাজিয়া নাসের এভাবে একের পর এক বাঁধা আর প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেছেন ধৈর্য আর সাহসের সম্মিলন ঘটিয়ে।

শুধু সংসার আর ছেলে-মেয়ে নয়,খুলনা এবং বাগেরহাট অঞ্চলে আওয়ামীলীগের ঐক্য ধরে রাখা এবং এই অঞ্চলের আওয়ামীলীগের নেতাদের ডেকে নিয়ে দলকে সংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে বিভিন্ন সময় দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ দিতেন এই সংগ্রামী নারী।খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের ৩ বারের সাধারন সম্পাদক এবং ৩ বারের সফল সভাপতি,খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা এস এম কামাল হোসেন বেগম রাজিয়া নাসের স্মরণে খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে এই মহিয়সী নারী সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের দূর্দিনে তার এই অনবদ্য ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

৮১ সালের সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৭ই মে অবৈধ সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন।সেই থেকে পিতা,মাতা,ভাই,চাচা এবং স্বজন হারানো শেখ হাসিনাকে বেগম রাজিয়া নাসের মাতৃস্নেহে আগলে রাখেন।পাশে থেকে সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।এই মহিয়সী নারী আজ আমাদের মাঝে নেই।

গত বছরের ১৬ ই নভেম্বর সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরপারে চলে গেছেন।বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিনী এবং সংসদ সদস্য জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন,সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল,যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল উদ্দীন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ জালাল উদ্দীন রুবেল এবং শেখ বেলাল উদ্দীন বাবুর রত্নগর্ভা মাতা ধৈর্য,সাহস ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি প্রয়াত বেগম রাজিয়া নাসের চাচীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

 

মোঃ নজরুল ইসলাম,তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা
১৬ নং ওয়ার্ড,সোনাডাঙ্গা থানা,খুলনা মহানগর।

 

আপনার মতামত লিখুন :