বৃক্ষপ্রেমিক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সেই ওয়াহিদ সরদার এখন গাংনীতে
”গাছ বাঁচলে আমরা সবাই বাঁচবো’’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কর্মবীর বৃক্ষপ্রেমিক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সেই আব্দুল ওয়াহিদ সরদার এখন গাংনীতে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ করে কৃষি দপ্তর থেকে জাতীয় পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত সেই সাদা মনের মানুষ আব্দুল ওয়াহিদ সরদার কে একনজর দেখতে ভীড় করেছে গাংনীর আপামর নানা বয়সী মানুষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ ও হাসপাতাল বাজারের সামনে মেহেরপুর –কুষ্টিয়া মহাসড়কের দুপাশে গাছের সাথে তার কাটা, পেরেক দিয়ে লটকানো বিভিন্ন পোষ্টার, বিলবোর্ড, ইত্যাদি অপসারন করে সচেতন মহলের মন জয় করেছেন ওয়াহিদ।
নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত এই নিঃস্বার্থ দেশ ও বৃক্ষ প্রেমিক যশোর সদরের রুদ্রনগরের ওয়াহিদ সরদারকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় চোখে পড়ার মত। একটি ভাঙ্গা সাইকেল ও পেরেক অপসারণের ষ্টিলপাইপসহ নানা উপকরণ নিয়ে তিনি সারাদেশ ভ্রমন করছেন।
প্রশ্নের জবাবে আব্দুল ওয়াহিদ সরদার জানান, গাছের সাথে মানুষের জীবন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমাদের জীবন বাঁচাতে তাই গাছ আমাদের বন্ধু। আমরা মানুষ। অমাদের যেমন জীবন আছে, গাছেরও জীবন আছ। আমাদের যেমন আঘাত করলে কষ্ট লাগে তেমনি গাছের গায়ে পেরেক বা তার কাটা লাগালে কষ্ট পায়। বৃ্ক্ষ ছাড়া মানুষের জীবন অর্থহীন।
বৃক্ষ আমাদের খাদ্যের যোগান দেয়।প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও বিশুদ্ধ বাতাস পেতে আমাদের গাছ বাঁচাতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বার্তা সবার মাঝে পৌছে দিতেই বেশী বেশী বৃক্ষ রোপন করার আহবান জানিয়েছেন।গাছ বাঁচলে আমরা সবাই বাঁচবো, আমি কথাটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আমি কখনও কারোর কাছে কিছু চাইনা। আমি প্রায় অর্ধশতাধিক পুরস্কার, সনদ পত্র পেয়েছি। পুরস্কার রাখার মত ঘর বাড়ি, শোকেচ বা জায়গা আমার নেই। আমি গাংনীর মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। সদা হাস্য ওয়াহেদ সরদার বলেন, আমি শুধু আপনাদের সচেতন, উদ্বুদ্ধ করতে এসেছি।
গাছের প্রতি সদয় হউন।গাছের শরীরে তারকাটা, পেরেক নাইলন দড়ি অপসারন করবেন এটা আইননত দন্ডনীয় অপরাধ। শেষমেষ বৃক্ষপ্রেমিক ওয়াহিদ সরদার বলেন,আমরা সবাই সুন্দর সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ গড়তে চাই।