বিমানে করে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী, নিয়মিত ফ্লাইটের আশা
বহু বছর পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসায় অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে হোটেল লোটে প্যালেসে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বহু বছর বিমানের ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকাবাসী খুব খুশি হবে যদি বাংলাদেশ থেকে এখানে বিমানের ফ্লাইট চালু হয়। গতকাল তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিমান নিয়ে এসেছেন।
সুখবর, তারা বিমানকে অ্যালাউ করেছে। চার্টার্ড ফ্লাইট হতে পারে, কিন্তু তারা বিমানকে অ্যালাউ করেছে।
আমি সে জন্য আশা করি, আগামীতে নিউইয়র্ক-ঢাকা বিমান চালু হবে। সঠিক তারিখ জানি না।
দোয়া করবেন, তাড়াতাড়ি হলে ভালো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আগে নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে যেতাম বাংলাদেশ বিমানে করে, বহু বছর আগে। তারপর বিমানটা বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমাদের বিমান এখানে এসেছে। আমাদের প্রত্যাশা যে, আগামীতে বাংলাদেশ বিমান নিউইয়র্ক টু ঢাকা এই লাইনটা চালু হবে।
ফ্লাইট চালুর অগ্রগতি সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, ইতোমধ্যে এখানকার ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে এবং এটা বেশ ভালো পর্যায়ে রয়েছে। সে জন্য আমরা আশাবাদী হতে পারি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত ইমেজ, বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণে ফ্লাইট চালুর বিষয়টি অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বহু বছর পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম নিজ দেশের বিমান নিয়ে এসেছেন।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের (এফএএ) ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশের এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে না। এই ছাড়পত্র না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। বিমানের ফ্লাইট চালু করতে ইতোমধ্যে ফেডারেল এভিয়েশনের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে।